সাংসদ মারফত স্থানীয় প্রশাসনের কাছে খবর পৌছতেই গ্রামে হাজির হন বিডিও বিকাশ নস্কর। স্থানীয় তৃণমূল নেতারাও তড়িঘড়ি গ্রামে গিয়ে পৌঁছন। বিডিও গ্রামের মানুষকে দ্রুত সমস্যা সমাধানে আশ্বাস দেন প্রশাসন ও স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব যাবতীয় সমস্যা সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিতে গ্রাম থেকে ভোট বয়কটের পোস্টার খুলে নেন গ্রামবাসীরা।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও তাদের গ্রামের সমস্যা সমাধানে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বছরের পর বছর ধরে বঞ্চিত তারা। গ্রামে রাস্তা নেই। নেই পানীয় জলের ব্যবস্থাও। গ্রামের মহিলাদের দূর থেকে পানীয় জল সংগ্রহ করে নিয়ে আসতে হয়। অনেকে জানিয়েছেন পুকুরের জল খেয়েও তাদের থাকতে হচ্ছে। স্থানীয় নন্দনপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েত সমস্যা সমাধানে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের। দাবি দাওয়া দীর্ঘদিন ধরে পূরণ না হওয়ায় তীব্র ক্ষোভে ভোট বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তারা, এমনটা দাবি গ্রামবাসীদের।
যদি গ্রামবাসীদের অভিযোগের কথা মানতে চাননি গ্রাম পঞ্চায়েতর সদস্য রেখা গোস্বামী বলেন ‘আমরা জলের সমস্যা সমাধানে অনেক কাজ করছি। কিছু কাজ হয়তো বাকি রয়েছে। বিভ্রান্তি তৈরি করতেই কিছু মানুষ এই কাজ করেছে।’ তৃণমূল নেতা কৌশিক কুলভি বলেন ‘ওখানে জলের সমস্যা রয়েছে আমার সেটা জানতাম না। সাংসদ দেবের নির্দেশে আমার সেখানে যাই। তিনি আমাদের সরেজমিনে খতিয়ে দেখে রিপোর্ট জমা দিতে বলেছিলেন। ওখানে সত্যি জলের সমস্যা রয়েছে। আমার সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ নেব।’