স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিদিনের মত বৃহস্পতিবার সকালে রাজমিস্ত্রির কাজে যাওয়ার জন্য বাবা ও ছেলে বাইকে চেপে কুলগাছিয়ার উদ্দ্যেশে যাচ্ছিলেন। স্থানীয় সূত্রে খবর, ১৬ নং জাতীয় সড়কে বাগনান খাদিনান মোড়ের কাছে কলকাতা অভিমুখে যাওয়া একটি বাস যাত্রী তোলার জন্য দাঁড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, সেই সময় অভিজিৎ ধাড়া বাইক নিয়ে বাসটিকে ওভারটেক করার সময় পিছন দিক থেকে আসা একটি ট্রেলার বাইকে ধাক্কা মারে। ধাক্কায় দু’জনেই রাস্তায় ছিটকে পড়ে। দুর্ঘটনার পর স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় দু’জনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে বাগনান গ্রামীণ হাসপাতালে (Bagnan Gramin Hospital) নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক অভিজিৎ ধাড়াকে মৃত বলে ঘোষণা করে। সৌরভকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। পুলিশ ঘাতক ট্রেলারটিকে আটক করতে পারেনি। দুর্ঘটনায় বাইকে থাকা মৃত ব্যাক্তির ছেলে সৌরভ ধাড়া আহত হয়েছে। বাগনান থানার পুলিশ মৃতদেহটি উলুবেড়িয়া মেডিকেল কলেজে (Uluberia Medical College) ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, খাদিনান মোড়ের কাছে কলকাতা (Kolkata) অভিমুখে যাওয়া একটি বাস যাত্রী তোলার জন্য দাঁড়িয়ে পড়েছিল। অভিজিৎ ধাড়ার ছেলে সৌরভ বাসটিকে কাটিয়ে পাশ দিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। অসাবধনতাবশত সে পেছনে ট্রেলারটিকে দেখতে পায়নি। ট্রেলারটি সজোরে এসে ধাক্কা মারে বাইকটি। বাইকের পিছনে অভিজিৎ ধাড়ার বসে থাকায় তিনি বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হন। দু’জনেই বাইক থেকে ছিটকে পড়েন রাস্তায়। দুর্ঘটনার পরেই ঘটনাস্থল ছেড়ে ট্রেলারটি পালিয়ে যায়। ছুটে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর দেওয়া হয় বাগনান থানায় (Bagnan Police Station)। দ্রুত দুজনকেই স্থানীয় বাগনান গ্রামীণ হাসপাতালে (Bagnan Gramin Hospital) নিয়ে যাওয়া হলেও অভিজিৎ ধাড়াকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। দুর্ঘটনার জেরে কিছুক্ষণের জন্য যানজট হয় বাগনান রোডের উপর। পরে পুলিশ এসে যান চলাচল স্বাভাবিক করে।
প্রসঙ্গত, গত ১২ ডিসেম্বর বাগনান-শ্যামপুর রোডে রামনগর এলাকায় একটি দুর্ঘটনা ঘটে। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি যাত্রীবাহী গাড়ি গিয়ে ধাক্কা মারে রাস্তার পাশের দোকান ঘরে। এদিনের ঘটনার পরেও দুরন্ত যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করার ব্যাপারে পুলিশের কাছে আর্জি জানান স্থানীয় বাসিন্দারা।