স্থানীয় সূত্রে খবর, দেগঙ্গায় জমি সংক্রান্ত বিবাদে এক গৃহবধূকে মারধর করার অভিযোগ। মারধর করার সময় ওই মহিলার কান টেনে ছিঁড়ে নেওয়া হয় বলে দাবি পরিবারের সদস্যের। পরিবারের তরফে জানান হয়েছে, ওই মহিলার পরিবারের সঙ্গে স্থানীয় কয়েকটি পরিবারের পৈতৃক সম্পত্তি নিয়ে বিবাদ রয়েছে। সেই সংক্রান্ত বিবাদ চলছে দীর্ঘদিন ধরে। সেই বিবাদের জেরেই এদিন রাস্তায় ওই মহিলাকে কয়েকজন আক্রমণ করে বলে অভিযোগ। মহিলাকে রাস্তায় হেনস্থা করা হয়। মহিলাকে মারধর করে জখম করে দেওয়ার অভিযোগ প্রতিবেশী তিনজনের বিরুদ্ধে। গৃহবধূকে বাঁচাতে এলে তার দুই ছেলেকে মারধরের অভিযোগ। গোটা ঘটনায় চাঞ্চল্য দেগঙ্গার শিমুলিয়া গ্ৰামে। আক্রান্ত মহিলা বলেন, “আমার স্বামী একটা জমি কিনেছিল, সেটা নিয়ে সমস্যা চলছে গত সাত মাস ধরে। ওখানে আমরা বাড়ি তৈরি করতে গেলে বাধা দেওয়া হয়। আজকে রাস্তায় আমার ছেলেকে মারধর করে। আমার কানের দুল সহ টেনে ছিঁড়ে নেওয়া হয়।”
আক্রান্ত মহিলার ছেলে বলেন, “পৈতৃক জমি দিয়ে আমাদের সমস্যা রয়েছে। আমার বাবার কেনা একটা জমি নিয়ে সমস্যা রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। এর আগেও আমার বাড়ি এসে হুমকি দিয়েছিল। আজকে আমার মা স্থানীয় একটি পুকুর থেকে ফেরার পথে কয়েকজন মিলে আক্রমণ করে। মারধর করে কানের লতি টেনে ছিঁড়ে নেওয়া হয়। মায়ের কানের চিকিৎসা করা হয়েছে। আমাদের পরিবারের আরও দু’জন আহত হয়েছে।” পরে আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয় বিশ্বনাথ পুর গ্ৰামীণ হাসপাতালে। অভিযুক্ত তিনজনের বিরুদ্ধে দেগঙ্গা থানায় (Deganga Police Station) লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে আক্রান্ত মহিলার পরিবারের সদস্যরা। অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। মহিলাকে আক্রমণের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়।
প্রসঙ্গত, নয় মাস আগে এক ৭ বছরের নিখোঁজ শিশুর বস্তাবন্দি দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায় দেগঙ্গার বেড়াচাঁপায়। মৃত শিশু রাকেশ কাহারের বাড়ি ছিল বেড়াচাঁপার সাধুখাঁ পাড়ায়। শিশুটির বাবা পেশায় ভ্যানচালক। জমি সংক্রান্ত বিবাদের জেরে ৭ বছরের শিশুকে খুনের অভিযোগ করা হয়েছিল। মৃতদেহ উদ্ধার করতে গেলে পুলিশকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখান হয়।