গতকাল তিনি সেই বিল সংক্রান্ত কাজেই ময়নাগুড়ি BDO অফিসে গিয়েছিলেন। কিন্তু এদিনও তাকে হতাশ হতে হয়। শেষ পর্যন্ত হতাশা থেকে তিনি পকেট থেকে কীটনাশক বের করেন ও BDO অফিসে বসেই তা খেয়ে ফেলেন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে (Jalpaiguri Super Specialty Hospital) ভর্তি করা হয়। যদিও এই বিষয়ে গতকালই ময়নাগুড়ির (Maynaguri) BDO শুভ্র নন্দী জানিয়েছিলেন এটি তিনি ময়নাগুড়িতে আসার আগেকার বিল। BDO-র সাফ বক্তব্য, ”এই খাবার সরবরাহ করার অর্ডারের কোনও কপি আমাকে দিতে পারেননি গৌতম দাস। ফলে খাবার দেওয়ার সরকারি অর্ডারের কাগজ না দিলে আমি সরকারি টাকা কীভাবে দেব? আমি যত দিন এখানে আছি গৌতম দাস যা সরকারি ভাবে অর্ডারের ভিত্তিতে খাবার দিয়েছে, আমি বিল দিয়ে দিয়েছি। গৌতম দাসের ছেলে জানান আজ উনি বাবাকে হারালেন। আমি আজ কিছুই বলব না এই বিষয়ে। পরে সংবাদমাধ্যমকে আমি যা করব জানাব।”
যদিও জলপাইগুড়ির জেলাশাসক (Jalpaiguri DM) মৌমিতা গোদারা ঘটনাটিকে দুঃখজনক আখ্যা দিয়েছেন। সাংবাদিকদের তিনি জানান, “পুলিশ যদি চায় ঘটনার তদন্ত হবে। পুলিশ সব কাগজ পত্র BDO অফিস থেকে দেখতে পারে। যদিও BDO-র কাছে আমি শুনেছি খাবার সরবরাহ করার কোন সরকারি অর্ডার ওই ব্যক্তি দিতে পারেননি। তাই জন্যই তাকে সরকারী বিল দেওয়া যায়নি”। বিশেষ সূত্রের খবর, পুরো লেনদেনই হত মুখের কথায়। আর সেই জন্যই বিপাকে পড়েন ওই ব্যবসায়ী। ধারে খাবার সাপ্লাই দিতে দিতে টাকার পরিমাণ দাঁড়িয়েছিল বিশাল। ব্যবসায় ভাটা পড়ে, সেই কারণে কিছু কর্মচারী বাদও দিতে হয়েছিল।
পশ্চিমবঙ্গের আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন। প্রতি মুহূর্তে খবরের আপডেটের জন্য চোখ রাখুন এই সময় ডিজিটালে।