সেই সূত্র অনুযায়ী, এরপরই টানা তিন ঘন্টা ম্যারাথন জেরা শুরু করেন CBI-এর আধিকারিকরা। একের পর এক প্রশ্ন মানে বিদ্ধ হতে থাকেন কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের (Suri Central Cooperative Bank) প্রাক্তন ও বর্তমান ম্যানেজার। জেরার এক সময়ে ব্যাঙ্কের দুজন ম্যানেজারকে হুমকি দিতেও দেখা যায় CBI অফিসারদের। শোনা যায় CBI আধিকারিকরা ব্যাঙ্ক ম্যানেজারকে বলছেন, “আমরা সব জানি। আর আপনারা যা জানেন, সমস্ত বলুন না হলে আপনাদের গ্রেফতার করতে একটুও ভাবব না”। সূত্রের খবর, এরপরেই ভয়ে মুখ খোলেন ব্যাঙ্ক ম্যানেজাররা। তারাই সিবিআই আধিকারিকদের জানান একজনের ৩০ থেকে ৪০টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের ফর্ম নিয়ে যাওয়া নিয়ে।
তদন্তে নেমে CBI অফিসাররা মনে করছেন, ওই ১৭৭টি অ্যাকাউন্ট থেকে যেসব আর্থিক লেনদেন হয়েছে, তা নির্দিষ্ট একজনের সইয়ের মাধ্যমে হয়েছে। তবে কে সইগুলি করেছেন, তা এখনও স্পষ্ট করেনি CBI। গরিব কৃষকদের নামে অ্যাকাউন্টগুলি খোলা হয়েছিল, তবে যাদের নামে অ্যাকাউন্ট তাদের কাছে কোনও তথ্য ছিল না। CBI-এর দাবি, কোনও একজন ব্যক্তি অ্যাকাউন্ট রক্ষণাবেক্ষণের যাবতীয় কাজ করতেন। এই বিষয়ে নিশ্চিত হতে কোনও হাতের লেখা বিশেষজ্ঞর শরণাপন্ন হতে পারে CBI। সূত্রের খবর অনুযায়ী, ওই ব্যাঙ্কের যাবতীয় লেনদেন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অ্যাকাউন্টগুলির মাধ্যমে গোরুপাচারের ১০ কোটি কালো টাকা সাদা করা হয়েছে বলে মনে করছিল CBI। কিন্তু, বেনামি অ্যাকাউন্টের সংখ্যা বাড়ায় টাকার অঙ্ক আরও বাড়তে পারে বলে মনে করছেন CBI অফিসাররা।