Cattle Smuggling Case : একজন ব্যক্তির নামে ৩০-৪০ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট? খতিয়ে দেখছে CBI – birbhum suri co operative bank case cbi found severals accounts in one person name


Birbhum News : গোরু পাচার মামলার তদন্তে নেমে একের পর এক দুর্নীতির সন্ধান পাচ্ছে CBI। এক এক করে উঠে আসছে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য। যা দেখে চোখ কপালে উঠেছে CBI-এর দুঁদে কর্তাদেরও। ইতিমধ্যেই CBI তথা গোটা দেশের নজর ঘুরে গিয়েছে বীরভূমের (Birbhum) সিউড়ি সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের (Suri Central Cooperative Bank) দিকে। এই ব্যাঙ্কে হানা দিয়েই CBI আধিকারিকরা জানতে পারেন প্রায় ৫০টি বেনামি অ্যাকাউন্টের (Fake Account) মাধ্যমে চলত কালো টাকা সাদা করার কাজ। গতকাল তদন্ত যত এগিয়েছে, ততই জানা গিয়েছে যে ৫০টি নয়, প্রায় ১৭৭টি বেনামি অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে চলত এই লেনদেন। এরপর যা সামনে এসেছে তা আরও বিস্ফোরক। বিশ্বস্ত সূত্রের খবর, একজন ব্যক্তি একবারে ৩০ থেকে ৪০টি করে অ্যাকাউন্ট খোলার ফর্ম নিয়ে যেতেন। সেই ফর্ম ভরার পরে একসঙ্গেই ফর্ম গুলি জমা করতেন ব্যাঙ্কে।

Cattle Smuggling : খাদ্য দফতর মারফত কী ভাবে সাদা হত গোরুপাচারের টাকা? CBI অভিযানে চাঞ্চল্যকর তথ্য
সেই সূত্র অনুযায়ী, এরপরই টানা তিন ঘন্টা ম্যারাথন জেরা শুরু করেন CBI-এর আধিকারিকরা। একের পর এক প্রশ্ন মানে বিদ্ধ হতে থাকেন কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের (Suri Central Cooperative Bank) প্রাক্তন ও বর্তমান ম্যানেজার। জেরার এক সময়ে ব্যাঙ্কের দুজন ম্যানেজারকে হুমকি দিতেও দেখা যায় CBI অফিসারদের। শোনা যায় CBI আধিকারিকরা ব্যাঙ্ক ম্যানেজারকে বলছেন, “আমরা সব জানি। আর আপনারা যা জানেন, সমস্ত বলুন না হলে আপনাদের গ্রেফতার করতে একটুও ভাবব না”। সূত্রের খবর, এরপরেই ভয়ে মুখ খোলেন ব্যাঙ্ক ম্যানেজাররা। তারাই সিবিআই আধিকারিকদের জানান একজনের ৩০ থেকে ৪০টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের ফর্ম নিয়ে যাওয়া নিয়ে।

Cattle Smuggling Case : ১৭৭ ভুয়ো অ্যাকাউন্টে সাদা হত গোরুপাচারের কালো টাকা! সমবায় কর্তাকে তলব CBI-র
তদন্তে নেমে CBI অফিসাররা মনে করছেন, ওই ১৭৭টি অ্যাকাউন্ট থেকে যেসব আর্থিক লেনদেন হয়েছে, তা নির্দিষ্ট একজনের সইয়ের মাধ্যমে হয়েছে। তবে কে সইগুলি করেছেন, তা এখনও স্পষ্ট করেনি CBI। গরিব কৃষকদের নামে অ্যাকাউন্টগুলি খোলা হয়েছিল, তবে যাদের নামে অ্যাকাউন্ট তাদের কাছে কোনও তথ্য ছিল না। CBI-এর দাবি, কোনও একজন ব্যক্তি অ্যাকাউন্ট রক্ষণাবেক্ষণের যাবতীয় কাজ করতেন। এই বিষয়ে নিশ্চিত হতে কোনও হাতের লেখা বিশেষজ্ঞর শরণাপন্ন হতে পারে CBI। সূত্রের খবর অনুযায়ী, ওই ব্যাঙ্কের যাবতীয় লেনদেন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অ্যাকাউন্টগুলির মাধ্যমে গোরুপাচারের ১০ কোটি কালো টাকা সাদা করা হয়েছে বলে মনে করছিল CBI। কিন্তু, বেনামি অ্যাকাউন্টের সংখ্যা বাড়ায় টাকার অঙ্ক আরও বাড়তে পারে বলে মনে করছেন CBI অফিসাররা।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *