Howrah News : তৃণমূল বিধায়কের উদ্যোগে সায় মুখ্যমন্ত্রীর, প্রাণ ফিরে পেল হাওড়ার ৩ স্বাস্থ্যকেন্দ্র – license fee of three health centres of howrah bali area granted by west bengal health department


West Bengal News: হাওড়ার বাসিন্দাদের জন্য সুখবর। রাজ্য সরকারের উদ্যোগে প্রাণ ফিরে পাচ্ছে হাওড়ার তিনটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র। বেলুড়ের পতিত পাবন আরোগ্য নিকেতন, বালির আরোগ্য ভবন এবং লিলুয়ার সিলভার জুবিলি হসপিটাল এই তালিকায় রয়েছে। এই তিনটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রেরই লাইসেন্স ফি বাবদ বিপুল অঙ্কের টাকা বকেয়া ছিল। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর সেই টাকা মকুব করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, এই তিনটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রর পরিষেবা অটুট রাখার জন্য মোট দেড় কোটি টাকা মকুব করে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে এই স্বাস্থ্য কেন্দ্র গুলি থেকে বিভিন্ন পরিষেবা পেতে স্থানীয় বাসিন্দাদের আর কোনও অসুবিধা রইল না। লাইসেন্স ফিল মুকুবের পাশাপাশি এই তিনটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রকে ক্লিনিক্যাল এস্টাবলিশমেন্টর বাইরেও নিয়ে আসা হয়েছে। এই তিনটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রই বালি পুরসভার অধীনে রয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বালির তৃণমূল বিধায়ক ডাঃ রাণা চট্ট্যোপাধ্যায় (Rana Chatterjee MLA) এই তিন স্বাস্থ্যকেন্দ্রকে ক্লিনিক্যাল এস্ট্যাবলিসমেন্টের বাইরে নিয়ে আসার জন্য উদ্যোগী হন। স্বাস্থ্য দফতরের কাছে এই মর্মে তিনি আবেদনও জানিয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে। বিধায়কের তরফে আবদেন পেয়ে তড়িঘড়ি রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরে যাবতীয় তথ্য ফাইল আকারে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন হাওড়া জেলার সিএমওএইচ ডাঃ নিতাইচন্দ্র মণ্ডল। বেশ কয়েকদিন ধরে এই সংক্রান্ত প্রক্রিয়া জারি থাকার পর শেষমেশ ওই তিন স্বাস্থ্যকেন্দ্রকে ক্লিনিক্যাল এস্টাবলিশমেন্ট লাইসেন্সের আওতার বাইরে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি রাজ্যের তরফে লাইসেন্স বাবদ ওই তিন স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বকেয়া দেড় কোটি টাকা মকুব করা হয়েছে।

বালির তৃণমূল বিধায়ক ডাঃ রাণা চট্টোপাধ্যায় গোটা কৃতিত্বটাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) দিয়েছেন। ফোনে এই সময় ডিজিটালকে তিনি বলেন, “মাননীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীকে আমাদের কৃতজ্ঞতা জানাই। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে স্বাস্থ্য দফতর বকেয়া টাকা মকুব করেছে। ক্লিনিক্যাল এসট্যাবলিশমেন্টের বাইরে বেরিয়ে যাওয়ার কারণে ভবিষ্যতে আমাদের আর কোনও ফি দিতে হবে না কোনও সমস্যার মুখোমুখিও হতে হবে না। বালি, বেলুড় ও লিলুয়ার নাগরিকদের পক্ষে অত্যন্ত আনন্দ সংবাদ। কারণ এখানে হাজার হাজার মানুষ চিকিৎসা পরিষেবা পান। লাইসেন্স না থাকার কারণে X-Ray, USG-র মতো পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছিল। এখন সেইগুলি দ্রুত চালু হয়ে যাবে। আমাদের আর কোনও দুশ্চিন্তা রইল না।”

পশ্চিমবঙ্গের আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন। প্রতি মুহূর্তে খবরের আপডেটের জন্য চোখ রাখুন এই সময় ডিজিটালে



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *