স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, যেভাবে রাস্তায় বাড়ি থেকে বিশাল চাঁই ভেঙে পড়েছে, তাতে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা ছিল। এমনকী প্রাণহানিও হতে পারত। সৌভাগ্যবশত তা হয়নি। বাড়ি ঠিক নিচেই একটি মিষ্টির দোকান রয়েছে, সেই দোকানেওর কোনও ক্ষতি হয়নি বলে জানা গিয়েছে। স্থানীয় কাউন্সিলরের উদ্যোগে পুরসভার কর্মীরা ভেঙে পড়া বাড়ির অংশ পরিষ্কারের কাজ শুরু করেছেন। পুলিশরে তরফে বাড়ির সামনে অংশ গার্ডরেল দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে। তবে কাউন্সিলর বিশ্বরূপ দে-র দাবি এই ঘটনার সঙ্গে মেট্রোরেল প্রকল্পের কাজের কোনও যোগাযোগ নেই।
চৌরঙ্গির তৃণমূল বিধায়ক নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়ও (Nayna Banerjee) খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “ভগবানের অশেষ কৃপা ও করুণা যে কারও মৃত্যু হয় নি। তবে যেকোনও দিন বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। ২০১৩ সালে নতুন মালিক এসেছ। তাঁর সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করব। এখানে দখলদাররাও রয়েছেন। বিকেলের মধ্য কথা বলে সমস্যা সমাধান করতে হবে। বাজার বন্ধ করে দেওয়ার কোনও প্রশ্ন নেই। আমি কলকাতা পুরসভার মেয়রের সঙ্গে কথা বলব।”
বাড়ি নিয়ে কয়েকবছর ধরেই বউবাজারের বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক জড়িয়েছে। মেট্রো প্রকল্পের কাজের জন্য মেশিন দিয়ে মাটি কাটার সময় বউবাজারের দুর্গাপিতুরি লেনের বেশ কিছু বাড়িতে ফাটল ধরেছিল। মেট্রোরেলের উদ্যোগে তাদেরকে হোটেলে নিয়ে রাখার ব্যবস্থা করা হলে এই সমস্যার স্থায়ী কোনও সমাধান এখনও হয়নি। তার মধ্যেই বিপিন বিহারী গাঙ্গুলি স্ট্রিটের ব্যস্ত এলাকয় বাড়ি অংশ ভেঙে পড়ায় আতঙ্কে রয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।