বন্দে ভারতের গতিতে না হলেও পার্থ-তদন্তে শতাব্দী এক্সপ্রেসের গতি চাইছেন বিচারক।
হাইলাইটস
- বন্দে ভারতের গতিতে না হোক অন্তত শতাব্দী এক্সপ্রেসের গতিতে তদন্তটা হোক।
- এসএসসির নিয়োগ-দুর্নীতি মামলায় সিবিআইকে এমনই পরামর্শ দিলেন আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক অর্পণ চট্টোপাধ্যায়।
- এজলাসে তখন বসে এই মামলায় জেলবন্দি রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ছাড়াও কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, সুবীরেশ ভট্টাচার্য, শান্তিপ্রসাদ সিনহা, অশোক সাহার মতো প্রাক্তন শিক্ষাকর্তারা।
শান্তিপ্রসাদের আইনজীবী সঞ্জয় দাশগুপ্ত, পার্থর আইনজীবী সেলিম রহমান, সুবীরেশের আইনজীবী তমাল মুখোপাধ্যায়রা সিবিআই তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। সঞ্জয় বলেন, ‘আমার মক্কেল ১১৮ দিন ধরে বন্দি। অথচ এত দিনে তদন্তের কী অগ্রগতি হয়েছে! আমার মক্কেলকে আটকে রাখার মতো কোনও যুক্তি সিবিআইয়ের কাছে নেই।’ সেলিম বলেন, ‘১১২ দিন ধরে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বন্দি। এখনও সরাসরি তাঁর বিরুদ্ধে সিবিআই কোনও অভিযোগ আনতে পারেনি। প্রমাণও করতে পারেনি। কোনও প্রাথমিক তথ্যপ্রমাণ ছাড়া তাঁকে এ ভাবে কি দিনের পর দিন জেলে আটকে রাখা যায়?’ তমালের প্রশ্ন, ‘অনেক দিন তো হলো জেলে আটকে রাখা হয়েছে। তদন্তের নেট রেজাল্ট কী?’ বিচারক সিবিআইয়ের কাছে কেস ডায়েরি দেখতে চান। সরাসরি বলেন, ‘কী কী তথ্যপ্রমাণ আছে, দেখি।’ কেস ডায়েরি দেখার আগেই অবশ্য সিবিআই দাবি করে, পার্থ, সুবীরেশ, কল্যাণময়, শান্তিপ্রসাদদের বিরুদ্ধে সরাসরি টাকা নিয়ে চাকরি বিক্রির প্রমাণ মিলেছে। অনেক এজেন্টেরও খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। যারা টাকা দিয়ে চাকরি বিক্রি করেছে। এই সবই ‘বড় মাথা’দের নির্দেশে হয়েছে বলে দাবি করে সিবিআই। বিচারক প্রশ্ন করেন, ‘যে সব এজেন্টের কথা বলছেন, তাদের তদন্তের আওতায় আনছেন না কেন?’ উত্তরে সিবিআইয়ের কৌঁসুলি জানান, এই মামলার জাল বহুদূর ছড়িয়ে। তাই জাল গোটাতে সময় লাগছে। কিন্তু প্রতিদিনই কাউকে না কাউকে জেরা করা হচ্ছে। তথ্যপ্রমাণ জোগাড় করা চলছে।
এ দিন আদালতে ঢোকা-বেরোনোর সময়ে পার্থ আর অন্য দিনের মতো সাংবাদিকদের কোনও প্রশ্নের জবাব দেননি। এজলাসেও চুপচাপই বসেছিলেন। এজলাসে বসে আধার কার্ডের ফটোকপিতে সই করতে গিয়ে পুলিশের কাছে মৃদু বকুনি খান সুবীরেশ। তাঁকে পুলিশ জানিয়ে দেয়, সরাসরি কোনও কাগজে সই করা যাবে না। যা করতে হবে আইনজীবী মারফৎ পুলিশকে জানিয়ে করতে হবে। শুনানির পর ছলছলে চোখে বসে থাকতে দেখা যায় শান্তিপ্রসাদের স্ত্রীকে। কল্যাণময় তাঁর আইনজীবীর থেকে জানতে চান হাইকোর্টে তাঁদের জামিনের আবেদনের কী হলো? কেন তাঁদের ছাড়া পেতে এত দেরি হচ্ছে? ঘটনাচক্রে কলকাতা হাইকোর্টে তাঁর জামিনের আবেদন এ দিনই প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।
আশপাশের শহরের খবর
Eisamay News App: আশপাশের তাজা ও গুরুত্বপূর্ণ খবর বাংলায় পড়তে ডাউনলোড করুন এই সময় অ্যাপ