Restaurants Howrah : নন্টে-ফন্টের সঙ্গে উত্তম কুমার! কলকাতার কাছেই রেস্তরাঁর দেওয়ালে ষোলোআনা বাঙালিয়ানা – howrah uluberia restaurant decorated as a small piece of kolkata the city of joy


West Bengal Local News: রেস্তরাঁয় বসে গরম বিরিয়ানি (Biriyani) খাওয়ার সময় বা কফির কাপে চুমুক দিতে দিতে যদি চোখের সামনে যদি কমিকসের নন্টে ফন্টে থেকে বাঁটুল দি গ্রেট বা হাঁদা ভোঁদা থেকে ম্যানড্রেকের ছবি ভেসে ওঠে তাহলে কার না ভালো লাগে। আবার খাবার টেবিলের পাশে যদি সত্যজিৎ রায়ের (Satyajit Ray) চারুলেখা থেকে নায়ক বা ঘরে বাইরে থেকে সোনার কেল্লার ছবি ভেসে ওঠে তাহলে ভালো লাগাটা কয়েকগুণ বেড়ে যায়। না এটা কলকাতার কোনও রেস্তোরাঁ নয়। কলকাতা থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে একটি রেস্তোরাঁকে এইভাবে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে। ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কের কলকাতামুখী রাস্তার পার্শ্ববর্তী সার্ভিস লেনে উলুবেড়িয়া বানীতলার কাছে একটি রেস্তোরাঁকে এইভাবে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে।

Short Trips From Kolkata: শহরে থেকে কয়েক পা দূরেই ইতিহাসের হাতছানি, রূপনারায়ণের পাড়ে কথাশিল্পীর বাড়ি
তবে শুধু কমিকস বা সিনেমার চরিত্র নয় পাশাপাশি রেস্তোরাঁয় আসা মানুষের কথা মাথায় রেখে পুরানো দিনের কলকাতার ছবিও মানুষের সামনে তুলে ধরা হয়েছে। রেস্তোরাঁকে সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরনের সাজে সাজিয়ে তোলা প্রসঙ্গে রেস্তোরাঁর মালিকের বক্তব্য বর্তমান যুগে সেই চিরাচরিত টেবিল চেয়ারের রেস্তোরাঁর ভাবনায় পরিবর্তন এসেছে।

Howrah Road Accident : বাইকে সজোরে ধাক্কা ট্রেলারের, বাগনানে ছেলেকে নিয়ে কাজে যাওয়ার পথে মৃত্যু বাবার
রেস্তোঁরা মালিকের কথায়, মানুষ একটু ভিন্ন পরিবেশে মনের মত খাবার খেতে চায়। আর সেইসব মানুষের কথা মাথায় রেখে রেস্তরাঁকে এইভাবে সাজানোর পরিকল্পনা। রেস্তোরাঁর মালিকের দাবি উলুবেড়িয়ার এই রেস্তোরাঁয় মানুষ আসলে তাদের মনের মত খাবার পাওয়ার পাশাপাশি একটা অন্য পরিবেশে কিছুক্ষণ সময় কাটাতে পারবেন।

Pradhan Mantri Awas Yojana : ‘বাড়ি তৈরির সময় কেউ টাকা চাইলে দেবেন না…’, আবাস যোজনা নিয়ে নিদান তৃণমূল বিধায়কের

নিকটবর্তী বাসিন্দারাও এই ধরনের রেস্তোঁরা চালু হওয়ার কারণে খুশি। তাদের দাবে, এলাকায় যদি এমন রেস্তোঁরা থাকে তবে বন্ধুবান্ধব বা পরিবারের সঙ্গে সেখানে যাওয়া যাবে। কলেজ ছাত্রী অন্বেষা মুখোপাধ্যায় বলেন, “আমরা হাওড়া জেলার বাসিন্দা হলেও কলকাতা তো আমাদের সকলের প্রাণের শহর। তাই রেস্তোঁরার দেওয়ালে নিজের শহরকে দেখতে কার না ভালো লাগে। এমন কিছু এখানে চালু হয়েছে শুনে ভালোই লাগছে। আমি শীঘ্রই বন্ধুদের নিয়ে ওখানে যাব।” এই প্রসঙ্গে তথ্য প্রযুক্তি কর্মী অমিত কুণ্ডু বলেন, “এমন রেস্তোঁরা কথা জানতাম না। প্রথম শুনলাম আপনাদের থেকে। শুনে তো বেশ আগ্রহ জন্মাল। যা ঠান্ডা পড়েছে বন্ধুদের নিয়ে একবার ঘুরে কফি খেয়ে আসা যায়।”

পশ্চিমবঙ্গের আরও খবর পাওয়ার জন্য ক্লিক করুন… হাওড়া জেলার খবর পাবেন এই লিঙ্কে। প্রতি মুহূর্তের লাইভ খবরের আপডেট পেতে ফলো করুন এই সময় ডিজিটাল



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *