যদিও এই প্রসঙ্গে দিলীপকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি তৃণমূলের সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার। তিনি বলেন, “বিজেপি ও দিলীপবাবুর শহিদদের নিয়ে কথা বলার কোনও অধিকারই নেই। কারণে স্বাধীনতা সংগ্রাম বা পরবর্তী সময়ে কোনও আন্দোলনের ক্ষেত্রে বিজেপির কেউ কখনও শহিদ হয়নি। আত্মত্যাগের ব্যাপারে বিজেপির কুণ্ঠা রয়েছে, তাই এই নিয়ে কথা বলা মানায় না। নন্দীগ্রামে একটি দলের নেতৃত্বে আন্দোলন হয়েছিল। সেই দল থেকে শুভেন্দু বিচ্যুত হয়েছেন। সেক্ষেত্রে দিলীপবাবু অন্তত একটি কথা ঠিক বলেছেন যে শহিদদের সঙ্গে শুভেন্দুর কোনও যোগাযোগ নেই।”
সম্প্রতি ‘দিদির সুরক্ষা কর্মসূচি’-র ঘোষণা করেছে তৃণমূল। এই কর্মসূচিকে সামনে রেখেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘দিদির দূত’-রা বাড়ি বাড়ি গিয়ে দলের হয়ে প্রচার করবেন। সরকারি সুযোগ সুবিধার কথা সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরা হবে। এই প্রসঙ্গে তৃণমূলকে তীব্র কটাক্ষ করেন দিলীপ। তিনি বলেন, “দিল্লির দূত এখন তৃণমূল নেতাদের বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছে যাচ্ছে। সেই ভয়ে তৃণমূল কাঁপছে। রাজ্যবাসী শীতে কাঁপছে। তৃণমূল সিবিআইয়ের ভয়ে কাঁপছে। ওরা যে দিদির সুরক্ষা কবচ আনছে, ওটা ওদের নেতাদের লাগবে।”
কুণাল বিরোধী দলের নেতা, তাঁকে দিলীপবাবুর কটাক্ষ করাই স্বাভাবিক। কিন্তু, আজ আরও একবার কুণালের সঙ্গে শুভেন্দুকে এক যোগে রেখে কটাক্ষ করলেন দিলীপ ঘোষ। ডিসেম্বের একের পর এক তারিখের কথা ঘোষণা করেছিলেন শুভেন্দু। সেই নিয়ে নাম না করে তাঁকে কটাক্ষ করেছিলেন দিলীপ। পালটা কটাক্ষের জবাব দিয়েছিলেন শুভেন্দু। আজ আরও একবার শুভেন্দুকে কটাক্ষের পিছনের কারণ এখনও স্পষ্ট নয়।