এই বিষয়ে দোকানদার বাপি বিশ্বাস জানান, “আমি সেই সময় দোকানেই উপস্থিত ছিলাম। রাত হয়ে যাওয়ায় দোকান বন্ধ করার তোড়জোড়ও করছিলাম। হঠাৎ দেখলাম একটি বিশাল লরি দ্রুতগতিতে হাসপাতালের গেটের দিকে এগিয়ে আসছে। তখনই বুঝতে পারি কিছু একটা গণ্ডগোল হয়েছে।
প্রমাদ গুনি, আর লরির গতিবিধি বুঝে দোকান থেকে তৎক্ষণাৎ বেরিয়ে গিয়ে পাঁচিলের পাশে আশ্রয় নিই। আমার ভাগ্য ভালো যে বেরোনোর সুযোগ পেয়েছিলাম, নাহলে লরিটি হয়ত আমার ওপর দিয়েই চলে যেত”। যেহেতু রাত হয়ে গিয়েছিল, তাই হাসপাতালের গেটের সামনে খুব কম লোক ছিল বলে জানিয়েছেন আক্রান্ত দোকানদার। এই দুর্ঘটনা যদি ভরদুপুরে বা সন্ধ্যেবেলায় হত, তাহলে যে কত মানুষের ক্ষতি হত, সেই কথা ভেবেই শিউরে উঠছেন বাপি বিশ্বাস। বাপি জানান, সেই সময়ে তার দোকানে কোনও গ্রাহক ছিলেন না। এই ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় বারাসত হাসপাতাল চত্ত্বরে। ঘটনার পরই লরির চালক পলাতক হয়ে যায়। ঘটনাস্থলে আসে বারাসত থানার পুলিশ (Barasat Police Station)।
স্থানীয় মানুষ ও পুলিশের অনুমান ব্রেক ফেল করেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। লরিটিকে আটক করেছে বারাসত থানার পুলিশ (Barasat Police Station)। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। রীতিমতো আতঙ্কিত অবস্থায় রয়েছেন সাধারন মানুষ। কিছুদিন আগেই একই জেলার বনগাঁ এলাকায় একইরকম ভাবে একটি লরি নিয়ন্ত্রন হারিয়ে রাস্তার ধারের একটি ধাবায় ধাক্কা মেরে ঢুকে গিয়েছিল। ধাবার কর্মচারী ও বাকি লোকজন আগেই বিপদ বুঝতে পেরে ধাবা থেকে পালিয়ে যান। পালানোর কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই লরিটি ধাবার ভিতরে ঢুকে ধাবাটি সম্পূর্ণ তছনছ করে দেয়। পুলিশ এসে লরিচালক ও ঘাতক লরিটিকে নিজেদের হেফাজতে নেয়।