জানা গিয়েছে, পেশায় টোটো চালক লাল্টু শনিবার রাতে দিদির বাড়িতে বাইক রাখার জন্য রাত ৮ টা নাগাদ বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর থেকেই নিখোঁজ ছিল ওই তৃণমূল কর্মী। বেশ কিছুক্ষণ খোঁজাখুঁজির পর পরিবারের লোকজন থানায় খবর দেয়। রাতে বাড়ি না ফেরার পর রোববার সকালে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে একটি পুকুর থেকে লাল্টুর রক্তাক্ত উদ্ধার করে আমতা থানার পুলিশ (Amata Police Station)। এদিকে তৃণমূল কর্মীর মৃতদেহ উদ্ধারের পর এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। ক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মীরা আমতা রানীহাটি রাস্তায় চন্দ্রপুরে রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় আমতা থানার (Amata Police Station) বিশাল পুলিশ বাহিনী। প্রায় ঘন্টাখানেক পথ অবরোধ করার পর পুলিশের হস্তক্ষেপে রাস্তা অবরোধ মুক্ত হয়।
তবে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ, কয়েক দিন আগে CPIM নেতা মোহাম্মদ সেলিম চন্দ্রপুরে আসার পর এলাকা অশান্ত হয়ে উঠেছিল। তার জেরেই এই ঘটনা। মৃত যুবকের স্ত্রী রূপা বেগম জানান, শনিবার রাত ৮ নাগাদ স্বামী বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর রাত সাড়ে ৯ টা নাগাদ ফোন করলে জ্বালায় আগুন পোয়াচ্ছে। রাতে বাড়ি ফিরবে বললেও আর ফেরেনি। এরপর রোববার সকালে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধারের খবর পাই। তিনি দাবি করেন, স্বামী তৃণমূল করাতেই তাঁকে বিরোধীরা পরিকল্পনা করে খুন করেছে। যদি তৃণমূলের অভিযোগ অস্বীকার করেছে স্থানীয় CPIM নেতৃত্ব।
CPIM হাওড়া জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য সাবির উদ্দিন মোল্লা বলেন, “তৃণমূল সব সময় বলতো CPIM-কে দূরবীন দিয়ে খুঁজতে হবে।” তাহলে CPIM কিভাবে খুন করবে সেই প্রশ্ন তোলেন সাবির উদ্দিন মোল্লা। গোটা ঘটনায় এলাকায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে আমতা থানার পুলিশ (Amata Police Station)।