জানা গিয়েছে, কলকাতার বাসিন্দা তরুণী ওই বক্সারের (Kolkata Boxer) সঙ্গে ২০১৬ সালের ২১ জানুয়ারি প্রথম আলাপ হয় রাজা মণ্ডলের। বিয়েবাড়িতে প্রথম দেখা হওয়ার পর থেকেই তাঁর সঙ্গে ভাব জমানোর চেষ্টা করেন অভিযুক্ত রাজা মণ্ডল। মাত্র কিছুদিনের মধ্যেই মেয়েটিকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে বসে সে। তরুণীর দাবি, প্রথমটায় ওর সঙ্গে কথা বললেও ওর প্রেমের প্রস্তাবে আমি রাজি ছিলাম না। কিন্তু, তারপরই একদিন বন্ধু হিসেবেই আমাকে বাড়িতে নিমন্ত্রণ করে রাজা। আমায় জানানয় বাবা-মায়ের সঙ্গে আমার আলাপ করাতে চায় সে। আমি রাজার সঙ্গে ওর বাড়ি যাই। কিন্তু, সেখানে গিয়ে দেখতে পাই বাড়িতে কেউ নেই। অসৎ উদ্দেশ্যেই সে আমায় বাড়িতে ডেকে নিয়ে গিয়েছিল। আমাকে সেদিন ধর্ষণ করেছিল রাজা। আমার ইচ্ছের বিরুদ্ধেই আমার আপত্তিকর ছবি এবং ভিডিয়ো তুলে রেখেছিল সে। আর তারপর থেকেই শুরু হয় নির্যাতন।”
নির্যাতিতা বক্সারের দাবি, “২০১৭ সালে আমি প্রথম জাতীয় স্তরে খেলার সুযোগ পেয়ে উত্তরাখণ্ডে গিয়েছিলাম। কিন্তু, তা সত্ত্বেও কোনওভাবেই রাজা আমায় ব্ল্যাকমেল করা বন্ধ করেনি। আমাকে বিয়ে করার জন্য চাপ দিতে থাকে। ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে আমি গোয়ায় ম্যাচ খেলতে গিয়েছিলাম। সেখানেও ফোন করে লাগাতার আমায় ব্ল্যাকমেল করতে শুরু করে। ২ ডিসেম্বর আমি কলকাতায় ফিরি। এরপর ৯ ডিসেম্বর বাধ্য হয়ে ওকে বিয়ে করতে বাধ্য হই। তারপর থেকেই জীবন বিভীষিকাময় হয়ে ওঠে আমার। প্রতিদিন আমায় শারীরিক নির্যাতন করত স্বামী। আমায় মারধর করত, গায়ে সিগারেটের ছ্যাঁকা দিত।” কোনওমতে ৩১ ডিসেম্বর রাতে স্বামীর বাড়ি থেকে বেরিয়ে এক আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নেন তরুণী বক্সার। এরপরই পুলিশের দ্বারস্থ হন তিনি। স্বামীর বিরুদ্ধে লেদার কমপ্লেক্স থানায় FIR করেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মহিলা বক্সার পুলিশি বয়ানে আরও জানিয়েছেন, বারবার ব্ল্যাকমেল করে রাজু মণ্ডল তাঁর থেকে ৭৮ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছিল। এছাড়াও ব্যবসার নাম করে ওই বক্সারের বাবার থেকেও ৫০ হাজার টাকা নিয়েছিল সে।