সেতু সমস্যার কারণে বাঁকুড়া (Bankura) শহর সংলগ্ন গন্ধেশ্বরীর ওপারের বিকনা, পুরন্দরপুর, মানকানালী গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার অসংখ্য মানুষকে মাত্র ক’মিনিটের রাস্তা প্রায় পাঁচ কিলোমিটার ঘুরে বাঁকুড়া শহরে আসতে হতো। এমনকি নদীর ওপারে বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও বেশ কয়েকটি নামী বেসরকারী স্কুল রয়েছে। সেখানকার অসংখ্য ছাত্র ছাত্রীকেও ঘুরপথে ঐসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পৌঁছতে হতো। এই সেতু খুলে দেওয়া হলে সেই সমস্যার সমাধান হবে। ২০১৮ সালে বন্যার তোড়ে বাঁকুড়া শহর সংলগ্ন গন্ধেশ্বরী নদীর সতীঘাটের ফুট ব্রীজটি জলের তোড়ে ভেঙে যায়। পরে পূর্ত দফতরের তরফে ওই জায়গায় নতুন সেতু তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, গন্ধেশ্বরী নদীর (Gandheswari River) উপর দিয়ে সাধারণ মানুষের যাতায়াতের জন্য তৈরি করা হয়েছিল একটি সেতু। প্রতি বছর এই সেতুর উপর দিয়ে বর্ষাকাল এলেই অবিরাম বয়ে চলত জল। শহরের পাশ দিয়ে বয়ে চলা গন্ধেশ্বরী নদীর নাব্যতা কমে আসছিল৷ বর্ষাকালের ওই কয়েকটা দিন সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষের দুর্ভোগের অন্ত থাকত না। তার কারণে শুরু করা হয়েছিল নদী সংস্কারের কাজ। প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা বরাদ্দ করে গন্ধেশ্বরী নদীর (Gandheswari River) নাব্যতা বাড়াতে খননকার্য করেছিল বাঁকুড়া (Bankura) সেচ বিভাগ। ২০১৮ সালের প্রবল বর্ষণে গন্ধেশ্বরীর সেতু ফের ভেঙে পড়ে।
প্রসঙ্গত, বাম আমলে বাঁকুড়া (Bankura) শহর সংলগ্ন গন্ধেশ্বরী নদীর উপর সতীঘাটে একটি ফুট ব্রিজ তৈরি করা হয়। পরে তৃণমূল রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর সেই ফুট ব্রিজ ভেঙে রাজ্য পূর্ত দফতর কয়েক বছর আগে সেতু তৈরির কাজ শুরু করে। নতুন করে সেতু তৈরির জন্য বরাদ্দ হয় প্রায় ১৭ কোটি ৯২ লাখ টাকা। ১৫৪.০৩ মিটার লম্বা ও ১৫.৫৫ মিটার চওড়া একটি সেতুর তৈরির কাজ শুরুও হয়। যদিও শুরু হয়ে যাওয়া কাজ আর সে ভাবে এগোয়নি বলে অভিযোগ ছিল। অবশেষে শেষ হতে চলেছে দীর্ঘদিন ধরে চলা এই সেতুর কাজ।