কেন্দ্রীয় সরকারের এই স্বীকৃতির পাওয়ার পরেই রাজ্য BJP-র তুলোধোনা করতে ছাড়েনি তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress)। উল্লেখ্য, রাজ্য সরকারের ব্যবস্থাপনায় এই প্রকল্পের জাতীয় পুরস্কার এলেও দীর্ঘদিন ধরেই এই উদ্যোগ আদৌ কতোটা ফলপ্রসূ তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। বিশেষত, রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল BJP-র দিক থেকে একাধিকবার এই প্রকল্প নিয়ে সমালোচনার সুর ভেসে এসেছে। তবে কেন্দ্রীয় সরকারের স্বীকৃতির পর রাজ্য BJP-র চুপ থাকা উচিত বলেই দাওয়াই তৃণমূল নেতৃত্বের। অথচ, সুকান্তর দাবি, দুয়ারে সরকারকে কেউ স্বীকৃতি দেয়নি। ওই প্রকল্পে ডিজিট্যাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারের বিষয়টিকে মাথায় রেখে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।
তাঁর কথায়, “ভার্চুয়াল সবকিছু হচ্ছে, কিন্তু একচুয়াল কিছু হচ্ছে না। লোকে লাইন দিয়ে কাগজপত্র জমা দিচ্ছেন। এরপর ঘর পেয়েছেন কি ? শৌচাগার পেয়েছেন কি? চাকরি পেয়েছেন কি ?” আদতে দুয়ারে সরকার থেকে জনসাধারণ শুধুমাত্র ‘৫০০ টাকা’ আর ‘২৮ টাকায় মদ’ পাচ্ছেন বলে দাবি বিজেপি রাজ্য সভাপতির।
প্রসঙ্গত, শনিবার সকালে নয়াদিল্লির (New Delhi) বিজ্ঞান ভবনে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর (Draupadi Murmu) হাত থেকে প্রথম পুরস্কার গ্রহণ করেন বাংলার প্রতিনিধি হিসাবে উপস্থিত রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। ২০২২ সালের ‘ডিজিটাল ইন্ডিয়া’ পুরস্কারের ‘পাবলিক প্ল্যাটফর্ম’ বিভাগে প্ল্যাটিনাম পুরস্কার পায় রাজ্য সরকারের ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচি। দেশের ৮০০টি প্রকল্পের মধ্যে সেরা প্রকল্প হিসাবে বিবেচিত হয়ে এটি।
পাশাপাশি, পূর্ব মেদিনীপুরে মহিষাদলে BJP কর্মীদের একঘরে করে দেওয়ার বিষয়টি নিয়েও এদিন সমালোচনা করেন BJP রাজ্য সভাপতি। হালিশহরের বোমা উদ্ধারের ঘটনায় রাজ্যের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়টি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। সুকান্ত বলেন, “মাটি ফুঁড়ে ফুঁড়ে বোমা গজাচ্ছে সব জায়গায়। বিভিন্ন জায়গায় দেখবেন শিল্প মেলা হচ্ছে। শিল্প মেলার প্রোডাক্ট এগুলো।” একইসঙ্গে, আবাস যোজনা নিয়ে অনিয়মের অভিযোগকে কেন্দ্র করে সুকান্ত মজুমদার জানান, রাজ্যে ২ টি কেন্দ্রীয় দল এসেছে পরিদর্শনের জন্য। আরও ১৫ টি দল আসবে সব জেলায় পরিদর্শনের জন্য। তিনি বলেন, “আবাস যোজনার টাকা দিয়ে ওষুধের দোকান হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী এই জন্য টাকা পাঠাচ্ছেন নাকি, ফাজলামো হচ্ছে। সব চোরদের ধরবো আমরা।”