দিল্লি হাইকোর্টে পিছিয়ে গেল অনুব্রত মণ্ডলের মামলার শুনানি। ফলে রেহাই মিলল কেষ্টর। আপাতত আর দিল্লি যাত্রা নয়।
Anubrata Mondal : অনুব্রত মণ্ডল। ফাইল ফটো।
হাইলাইটস
- স্বস্তি পেলেন অনুব্রত মণ্ডল।
- তাঁকে দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে জেরা করার মামলায় শুনানি পিছিয়ে গেল।
- বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি দিল্লি হাইকোর্টে ইডির গ্রেফতারি নিয়ে অপর একটি মামলা দায়ের করেছেন।
প্রসঙ্গত, দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে জেরার জন্য সম্মতি দিয়েছিল। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তিনি একটি মামলা দায়ের করেছিলে কেষ্ট। সেই মর্মেই শুনানি হয় দিল্লি হাইকোর্টে (Delhi High Court)। অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) যাতে দিল্লি না নিয়ে যেতে হয়, তার জন্য বারবারই সওয়াল করতে দেখা গিয়েছে তাঁর আইনজীবী কপিল সিব্বলকে। সেই মামলার শুনানিতেই দিল্লি হাইকোর্ট জানায়, এখনই দিল্লি নিয়ে গিয়ে কেষ্টকে জেরা করতে পারবে না ED। পাশাপাশি কোনওরকম প্রোডাকশন ওয়ারেন্টও ধরানো যাবে না এই তৃণমূল নেতাকে। এর আগে তিনি নিজেই দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রক্ষাকবচ চেয়েছিলেন। ফলে আপাতত সেই রক্ষাকবচই যে বহাল রইল, তা বলাই বাহুল্য।
সম্প্রতি গোরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলের জামিনের আর্জি খারিজ করে দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি এবং বিচারপতি অজয় কুমার গুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চ শুনানিতে জানান, যেভাবে শিবঠাকুর মণ্ডলের মামলার প্রসঙ্গ উঠে এসেছিল, তাতে আশঙ্কা প্রকাশ করে হচ্ছে বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতির জামিনের পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়াতে পারে এই মামলা। তবে কোর্টের তরফে জানানো হয়েছে, তদন্তের এই পর্যায়ে গোরু পাচারে (Cattle Smuggling Case) মূল অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) জামিন দেওয়া সম্ভব নয়। তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয় ডিভিশন বেঞ্চ। গত ১৪৬ দিন ধরে জেলেই রয়েছেন বীরভূমের দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডল । তবে যেভাবে গতকালের শুনানিতে বারবার দুবরাজপুরে মামলার প্রসঙ্গে উঠে এসেছিল তাতেই অনুব্রত মণ্ডলের জামিন নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল।
আশপাশের শহরের খবর
Eisamay News App: আশপাশের তাজা ও গুরুত্বপূর্ণ খবর বাংলায় পড়তে ডাউনলোড করুন এই সময় অ্যাপ