রাহুল আর পড়াশুনো না করলেও আলমগির কলকাতার স্বামী বিবেকানন্দ ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনলজি থেকে ২০২১ সালে বি.টেক পাশ করেন। জানা গিয়েছে, আলমগিরের বাবা শাহেনশা খান ঢালাই মেশিন ভাড়া দিয়ে তাঁর পাঁচ সন্তানকে কষ্ট করে বড় করে তুলেছেন এবং তাদের পড়াশুনো শেখানোর চেষ্টা করেছেন। আলমগির পরিবারের বড় ছেলে। অন্যদিকে রাহুলের বাবা মনসুর আলি পেশায় ট্যাক্সি চালক। দুই তরুণের পরিবারে আশা এই চায়ের দোকান থেকে তাঁরা একদিন সাফল্যের শীর্ষে পৌঁছবেন।
ইতিমধ্যেই মালদা শহরের প্রচুর মানুষ আলমগির ও রাহুলের B.Tech Chaiwala-তে গিয়ে ভিড় জমাচ্ছেন। স্থানীয় তরুণ-তরুণীদের একটা বড় অংশ গরম কাপের চুমুকের সঙ্গে আড্ডা মারতে এখানে এসে ভিড় জমান। রাহুল ও আলমগির নিজেরাই চা তৈরি করে গ্রাহকদের পরিবেশন করেন। এই সময় ডিজিটালকে রাহুল বলেন, “২০১৭ সালে আমি বি.টেক পাশ করি। আমার বন্ধু আলমগির ডিপ্লোমা পাশ। আমরা ভেবেছিলাম একটা ব্যবসা শুরু করব। তারপরই চায়ের দোকান খোলার সিদ্ধান্ত নিই। কোনও ব্যবসাই ছোট বড় কোনও কিছু না। রাজ্য বা কেন্দ্রীয় সরকারের একই অবস্থা, কোনও কোনও নিয়োগ নেই। সেই অপেক্ষায় থেকে লাভ নেই। আশা করি এই ব্যবসাটাকে আমরা অনেকটা বড় করে তুলতে পারব।”
এই চায়ের দোকানে চা খেতে আসা সহিদুল ইসলাম নামের এক যুবক বলেন, ‘বাজারে অনেক রকম চায়ের দোকান রয়েছে। কিন্তু এটা অন্যধরনের চায়ের দোকান। তাই আমার এখানে এসেছি। রাজ্যে চাকরি অবস্থা খুবই খারাপ। যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের ধর্ণায় বসতে হচ্ছে। সেখানে এই দু’জন ইঞ্জিনিয়ার স্বনির্ভর হওয়ার চেষ্টা করছেন। তাদের এই উদ্যোগকে কুর্ণিশ জানাই। সেই কারণে আমরা এখানে এসেছি।’