ঠিক কী ঘটেছে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)?
জানা গিয়েছে, এদিন কলকাতা হাইকোর্টের ১৩ নম্বর আদালত কক্ষের বাইরে প্ল্যাকার্ড হাতে বয়কট কর্মসূচিতে অংশ নেন তৃণমূলপন্থী আইনজীবীরা। বিচারপতি মান্থার এজলাসে বিচারপ্রক্রিয়া স্তব্ধ করে দেওয়ার ঘটনা নিয়ে প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করেন কেন্দ্রের ডেপুটি সলিসিটর জেনারেল বিল্বদল ভট্টাচার্য এবং আইনজীবী শ্রীজীব চক্রবর্তী। পাশাপাশি আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য (Bikash Ranjan Bhattacharya) প্রধান বিচারপতির এজলাসে গিয়ে বিষয়টি নিয়ে নিন্দা প্রকাশ করেন। তাঁর আবেদন, “বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতিকে ডেকে প্রয়োজনে সুপ্রিম কোর্টে বিষয়টি তোলা হোক।”
ক্ষুব্ধ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি
কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এদিন গোটা ঘটনা শুনে বলেন, “এই ভাবে চলতে পারে না। আমরা কোনও পদক্ষেপ করলে তারা কি করবে? সেটা ভেবে দেখতে বলুন। বার অ্যাসোসিয়েশনের কি করছে? প্রেসিডেন্টকে দেখা করতে বলুন।” এরপর অ্যান্টর্নি জেনারেল তাঁর এজলাসে এসে বলেন, “আমি সবেমাত্র বিষয়টি জানতে পারলাম।” প্রধান বিচারপতির কথা শোনার পর তিনি বিক্ষোভরত আইনজীবীদের বলেন, “এটা ভালো হচ্ছে না। এগুলো করা উচিত নয়। অবস্থান বিক্ষোভ তুলে নিন। আমি অনুরোধ করছি।” প্রধান বিচারপতি একটি নির্দিষ্ট সময় দেন, তার মধ্যে বিক্ষওভ তুলে না নিলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান তিনি। বিক্ষোভরত আইনজীবীদের বলেন, “এটা ভাল হচ্ছে না। এগুলো করা উচিত নয়। অবস্থান বিক্ষোভ তুলে নিন। আমি অনুরোধ করছি।” তৃণমূলপন্থী বিক্ষোভকারী আইনজীবীদের একাংশ পালটা এজিকে বলেন, “অনেক মামলায় সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। পুনরায় মামলা খারিজ হয়ে গেলে তখন তার দায়িত্ব কে নেবে?”