Kolkata Fire Incident শীতের ভোরে ফের অগ্নিকাণ্ড শহর কলকাতায়। কালো ধোঁয়া আর বাঁচানোর আর্তচিৎকারে ঘুম ভাঙল এলাকাবাসীর। চেতলার বস্তিতে এক ঘরে আগুন লেগে ভয়াবহ রূপ নিল। বদ্ধ ঘরে আগুনে আটকে পড়ে স্বামী-স্ত্রী সহ দুইটি শিশু। একইসঙ্গে বস্তিতে ঘেঁষাঘেষি ঘর হওয়ায় অন্য জায়গায় আগুন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। খবর দেওয়া হয় দমকলে। কিন্তু দমকল কর্মীরা পৌঁছনো অবধি কিংকর্তব্যবিমূঢ় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। স্থানীয়রা বালতি বালতি জল নিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন।
জানা গিয়েছে, এদিন সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ আগুন লেগে যায় চেতলার বস্তির ওই ঘরে। গৃহকর্তা অরুণ মণ্ডল একশো দিনের কাজের কর্মী। সকাল সকাল স্বামীর কাজে বেরনোর তাড়ায় তড়িঘড়ি রান্না চাপাতে যান স্ত্রী পদ্ম মণ্ডল। লাইটার জ্বালতেই দাউদাউ করে জ্বলে ওঠে গোটা ঘর। অনুমান, গ্যাসের পাইপ লিক থাকায় এই বিপত্তি। শীতের রাতে ঘর বদ্ধ থাকায় বন্ধ ঘরে জমা গ্যাসে লেগে যায় আগুন। ভয়াবহ সেই আগুনেই ঘরের ভিতর ঘুমন্ত দুই শিশুকে নিয়ে আটকে পড়েন দম্পতি। Bhatpara Fire Incident : ভরদুপুরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ভাটপাড়ার জুট মিলে, লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা
এক কামরার ঘরে ঢোকার রাস্তা একটি মাত্র দরজা। সেই দরজার পাশেই ছিল রান্নার ব্যবস্থা। তাই আগুন লেগে যেতে বন্ধ হয়ে যায় ঘরের মূল বাইরে বেরনোর রাস্তা। শিশু ও দম্পতির আর্ত চিৎকারে জড়ো হয়ে যায় প্রতিবেশীরা। কিন্তু ঘরে প্রবেশের আর কোনও রাস্তা না থাকায় অসহায় অবস্থায় দমকলের অপেক্ষা করা ছাড়া আর কোনও উপায় ছিল না প্রতিবেশীদের সামনে। তবু আগুনের লেলিহান শিখার দাপট কমাতে বালতি বালতি জল ঢালতে থাকে।
অবশেষে দমকল ও পুলিশের চেষ্টায় পাশের ঘরের দেওয়াল কেটে উদ্ধার করা হয় ছয় ও এক বছরের দুই শিশু সহ দম্পতিকে। একে একে সেই গর্ত দিয়ে বের করে আনা হয় চারজনকে। ততক্ষণে আগুনের ঝাপটায় জখম চারজন। জানা গিয়েছে, অরুণ মণ্ডলের মুখের বাঁ দিকের কিছুটা অংশ ঝলসে গেছে। পদ্ম মণ্ডলের হাতে ও মুখে আছে বার্ন ইনজুরি। আহত দুই শিশু পুত্রও। সবাইকেই ভর্তি করা হয় এস এস কে এম হাসাপাতালের বার্ন ইউনিটে। ঘণ্টাখানেক পরে প্রাথমিক চিকিৎসার পর আত্মীয়দের হাতে অঙ্কুশ ও যিশুকে তুলে দেওয়া হলেও, অরুণ ও পদ্মা এখনও চিকিৎসাধীন।
পশ্চিমবঙ্গের আরও খবরের জন্যক্লিক করুন। প্রতি মুহূর্তে খবরের আপডেটের জন্য চোখ রাখুন এই সময় ডিজিটালে।