শৈশবকালের চোর পুলিশের খেলার মত এমনই এক খেলা দেখা গেল রায়গঞ্জে। ধরা পড়ল হাসপাতালের সিলিং ভেঙে পলাতক বন্দি।

হাইলাইটস
- ফিল্মি কায়দায় হাসপাতালের শৌচালয়ের ফলস সিলিং ভেঙে পলাতক বন্দি।
- 24 ঘন্টার মধ্যেই ফের পুলিশের জালে ধরা পড়ল।
- তাকে মঙ্গলবার আদালতে তোলা হবে।
প্রসঙ্গত, নির্দিষ্ট একটি মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল বিশ্বজিৎকে। শনিবার তাকে শারীরিক অসুস্থতার কারনে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে (Raiganj Medical College and hospital) আনা হয়। পরীক্ষার পর তাকে পুলিশ সেলে ভর্তি নেওয়া হয়। রবিবার সকালে অভিযুক্ত শৌচালয়ে গিয়ে প্রথমে সিলিং ভাঙে। তারপর পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে যায়। এই ঘটনাকে ঘিরে প্রশ্ন উঠেছিল পুলিশ সেলের নিরাপত্তা নিয়ে। যদিও ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই পুলিশি তৎপরতায় আবার ধরা পড়ে বিশ্বজিৎ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার বেলা ১১.৩০ নাগাদ রায়গঞ্জের বিন্দোল এলাকা থেকে ধরা পড়ে বিশ্বজিৎ। তাকে মঙ্গলবার আদালতে তোলা হবে বলে জানিয়েছে রায়গঞ্জ থানার (Raiganj Police Station) পুলিশ।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মাঝে মধ্যেই পুলিশি হেফাজত থেকে বন্দি পালানোর খবর পাওয়া যায় রাজ্য জুড়ে। গত বছরেই অনেকটা একইরকম ঘটনা ঘটেছিল হুগলি জেলার চন্ডিতলায়। চন্ডীতলার মামুদপুরের এক বাসিন্দাকে চুরির অভিযোগে গ্রেফতার করেছিল হরিপাল থানা। চন্দননগর আদালত (Chandannagar Court) হয়ে চন্দননগর সংশোধনাগারে রাখা হয় তাকে। চন্ডীতলা থানা একটি চুরির ঘটনায় তাকে হেফাজতে চায় পুলিশ। পাঁচদিনের হেফাজতে পেয়ে চন্ডীতলা থানায় নিয়ে আসা হয় অভিযুক্তকে। তাঁর শারীরিক পরীক্ষা করাতে চন্ডীতলা ব্লক হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। সেখান থেকে পুলিশের হাতকড়া ছাড়িয়ে হাসপাতালের পিছনের জঙ্গল দিয়ে পালিয়ে যায় সে।
এছাড়াও গত বছরের জুলাই মাসে দুর্গাপুর সংশোধনাগারের (Durgapur Correctional Institution) পাঁচিল টপকে পালায় তিন বন্দি। দুর্গাপুর উপ-সংশোধনাগারে রাখা হয়েছিল অন্ডালের পেট্রোল পাম্পে ডাকাতি কাণ্ড ধৃত তিন বন্দিকে। একদিন দুপুরে সুযোগ বুঝে দুর্গাপুর মহকুমার উপ-সংশোধনাগারের পাঁচিল টপকে পালায় এই তিনজন। খবর পেয়েই ঘটনার তদন্ত শুরু করে দেয় আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট।
আশপাশের শহরের খবর
Eisamay News App: আশপাশের তাজা ও গুরুত্বপূর্ণ খবর বাংলায় পড়তে ডাউনলোড করুন এই সময় অ্যাপ