জানা গিয়েছে, পলাশ দাস হাওড়া পুলিশের কনস্টেবল পদে কর্মরত ছিলেন। তাঁর বাড়ি মগরাহাট থানা এলাকায়। ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর দিয়ে একটি বাইক নিয়ে যাবার সময় দ্রুত গতিতে আসা একটি বাস ধাক্কা মারে। রাস্তার মধ্যেই ছিটকে পড়ে ওই ব্যক্তি। এরপর বাসের পিছনের চাকা তাঁর গায়ের উপর দিয়ে পিষ্টে যায়। ঘটনাস্থলেই ওই যুবকের মৃত্যু হয় বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। দুর্ঘটনার পরেই ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ব্যক্তির পরিচয় পত্র দেখে বোঝা যায় তিনি একজন পুলিশ কর্মী। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দারা বিষ্ণুপুর থানায় খবর দেন। পুলিশ এসে দেহটি উদ্ধার করে। ওই ব্যক্তির পরিবারের কাছে খবর পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বিষ্ণুপুরের ওই এলাকায় এমনিতেই রাস্তা খুব সংকীর্ণ। তার মধ্যে দিয়ে নিয়ন্ত্রণহীনভাবে গাড়ি চলাচল করে। তার মধ্যে থেকে এই সপ্তাহে গঙ্গাসাগর মেলা শুরু হয়েছে। যে কারণে গাড়ির চাপ অত্যন্ত বেশি। প্রচুর পরিমাণে গাড়ি চলাচল করছে ১১৭ নং জাতীয় সড়কের উপর দিয়ে। যাত্রী ও গাড়ির সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় আরও কঠোর হাতে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয় এক বাসিন্দা বিশ্বজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বিষ্ণুপুর হার্ডা কোম্পানির সামনে এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। যে ছেলেটি দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছে, তাঁর পরিচয় পত্র দেখা হয়েছে। তিনি একজন পুলিশ কর্মী ছিলেন। একটি বাসের সঙ্গে ধাক্কায় তাঁর দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনাস্থলে তিনি মারা যান বলে মনে করা হচ্ছে। খুবই দুঃখজনক ঘটনা।” দুর্ঘটনার জেরে কিছুক্ষণের জন্য জাতীয় সড়কে যান চলাচল ব্যাহত হয়।
পশ্চিমবঙ্গের আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন। প্রতি মুহূর্তে খবরের আপডেটের জন্য চোখ রাখুন এই সময় ডিজিটালে।