পুলিশ ও রোগীর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে পূর্ব বর্ধমানের (East Burdwan) রাইপুর কাশিয়াড়া এলাকার বাসিন্দা তুলা ধাড়া তার ১১ বছর বয়সী মেয়েকে অসহ্য পেটে যন্ত্রণা নিয়ে বর্ধমান হাসপাতালে নিয়ে আসেন। শিশুবিভাগে টিকিট করানোর পর তিনি তার মেয়েকে চিকিৎসককে দেখান। চিকিৎসক তাঁকে ইএসজি করানো পরামর্শ দেন এবং হাসপাতালেরই কাগজে তা লিখে দিয়ে ৬ নং ঘরে যেতে বলেন। সেখানে কাগজপত্র নিয়ে যাওয়ার পর তাকে আগামী ১৭ জানুয়ারি ডেট দেওয়া হয়। মেয়ের অসহ্য পেটে যন্ত্রণার কথা বলে তাড়াতাড়ি ইউএসজি করিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করলেও ফল মেলেনি। কী করবেন বুঝতে না পেরে তিনি যখন পাশে দাঁড়িয়েছিলেন অভিযোগ, সেই সময় এক ব্যক্তি আসেন এবং আজই ইউএসজি করিয়ে দেওয়া হবে বলে বিনিময়ে টাকা চান। এরপরই তুলা ধাড়া সন্তর্পনে সমস্ত বিষয়টি হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পে অভিযোগ করেন। চাহিদামতো টাকা তার কাছে না থাকায় তাকে টাকা দিয়ে ফাঁদ পাতে পুলিশ। আর তাতেই মেলে সাফল্য। ধৃত হাসপাতালের ঠিকাদার সংস্থার কর্মী।
হাসপাতালে দালাল চক্রের রমরমা নিয়ে বর্ধমান হাসপাতালের সুপার তাপস কুমার ঘোষ বলেন, ”এইরকম একটা অভিযোগ এসেছিল। তার ভিত্তিতে পুলিশ ব্যবস্থা নিয়েছে। এর বাইরেও একটি অন্তর্বর্তী তদন্ত কমিটি গঠন করে এর সঙ্গে আর কারা কারা যুক্ত তা খতিয়ে দেখা হবে। এছাড়াও দালালচক্র নির্মূল করতে হাসপাতালের পক্ষ থেকে ধারাবাহিক প্রচার ও রোগীর পরিজনদের সচেতন করার কাজ তো চলছেই।”
পশ্চিমবঙ্গের আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন। প্রতি মুহূর্তে খবরের আপডেটের জন্য চোখ রাখুন এই সময় ডিজিটালে।