Covid Cases In West Bengal Today : এক বছরে ২৪,২৮৭ থেকে কমে করোনায় আক্রান্ত ৩ – covid cases in west bengal increased last 1 years


এই সময়: পৌনে তিন বছরের করোনাকালে আসা চারটে ঢেউয়ের মধ্যে কোভিড-গ্রাফ সর্বোচ্চ শিখর ছুঁয়েছিল তৃতীয় ঢেউয়ের সময়ে। ওমিক্রনের কারণে ঠিক এক বছর আগে, ২০২২-এর ৯ জানুয়ারি সব চেয়ে বেশি দৈনিক আক্রান্তের খোঁজ মিলেছিল রাজ্যে। সংখ্যাটা ছিল ২৪,২৮৭। আর এই বছর, ২০২৩-এ সেই একই তারিখে, সোমবার রাজ্যে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা মাত্র ৩। অথচ সেই ওমিক্রনই গত এক বছর ধরে মিলে চলেছে সর্বত্র। এমনকী, চিন-সহ বিশ্বের বহু দেশে দাপিয়ে বেড়ানো ওমিক্রনের বিএফ.৭ উপ-প্রজাতির অস্তিত্বও মিলেছে ভারতে, এই বঙ্গেও। ভারতে তার খোঁজ প্রথম মেলে গত বছর অগস্ট মাসে। তার পরেও চার মাসে করোনা সে ভাবে দেশের কোথাও মাথাচাড়া না-দেওয়ায় বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সেই অর্থে নতুন করে করোনার ঢেউ ওঠার আশঙ্কা কম। সম্প্রতি বাংলাতেও চার জন আমেরিকা-ফেরতের সংক্রমণের নেপথ্যে ওমিক্রনের এই সাব-ভ্যারিয়েন্টেরই খোঁজ মিলেছিল। তবে তাতে ফারাক পড়েনি রাজ্যের স্বস্তির ছবিতে। পশ্চিমবঙ্গে গত এক-দেড় মাস ধরেই দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ১০ ছাড়াচ্ছে না। বর্তমানে ৫৪ জন অ্যাক্টিভ করোনা রোগী রয়েছেন। তার মধ্যে ৪ জন আপাতত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বেলেঘাটা আইডি, এমআর বাঙুরের মতো হাসপাতালে এক জনও কোভিড রোগী ভর্তি নেই। শহরের অধিকাংশ বেসরকারি হাসপাতালেও অক্টোবর-নভেম্বরের পর আর কোনও রোগী করোনা নিয়ে ভর্তি হননি।

BF.7 Variant In West Bengal: এবার রাজ্যের করোনার অতি সংক্রামক ভ্যারিয়্যান্ট BF.7 -এর থাবা, নদিয়ায় আক্রান্ত ৪
তাই, করোনা ফের বাড়াবাড়ি করবে, এমনটা মানতে নারাজ বিশেষজ্ঞদের একটা বড় অংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, যদি পঞ্চম বারের জন্য ঢেউ আসেও, তা হলে রোগীদের মূলত মৃদু উপসর্গই থাকবে। কো-মর্বিডিটি থাকা বড়জোর ২ শতাংশ রোগীর বেশি কাউকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে না- এমনটাই জানাচ্ছেন তাঁরা। সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ যোগীরাজ রায়ের বক্তব্য, ‘এক বছর আগে ওমিক্রন ছেয়ে যাওয়ার সময়েই বোঝা গিয়েছিল, করোনার শেষের শুরু হয়ে গিয়েছে। কোভিড একেবারে সাধারণ সর্দি-কাশির পর্যায়ে নেমে এসেছে। করোনা হলে নিউমোনিয়া আর ফুসফুসে থাবা বসাচ্ছে না। পরবর্তী কালে ওমিক্রনেরই একাধিক তুতো ভাই এসেছে। সেগুলোও ধারে-ভারে দুর্বল ছিল। এখন যে বিএফ.৭ জাতভাই এসেছে ওমিক্রনের, তার ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম হবে না।’ তিনি জানান, সাধারণ মরশুমি জ্বর-সর্দি-কাশি বা কমন কোল্ডে ভুগলে যেমন স্রেফ প্যারাসিটামল এবং অ্যান্টি অ্যালার্জিক-এ অসুখ সেরে যায়, এখন করোনা হলেও তেমনটাই যথেষ্ট।

Covid Update : দেশে দৈনিক আক্রান্ত বেড়ে ২০০, কোভিডে মৃত ৪
এক বছর আগে যখন ওমিক্রন দাপাদাপি শুরু করেছিল, যখন করোনার লেখচিত্র শিখর ছুঁয়েছিল, সেই সময়ে গোটা রাজ্যে গড়ে রোজ আড়াই-তিন হাজার রোগী হাসপাতালে ভর্তি থাকতেন। কিন্তু এখন শহরের হাসপাতালগুলি থেকে কোভিড ওয়ার্ড এক রকম উঠেই গিয়েছে। মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অরিন্দম বিশ্বাস বলছেন, ‘করোনাকে লোকে আর গুরুত্ব দিচ্ছে না। অনেক আপাত সাধারণ সর্দি-কাশি হয়তো আদতে কোভিডই। কিন্তু টেস্ট হচ্ছে না বলে চিহ্নিতও হচ্ছে না। কয়েক দিনে এমনিই সেরে যাচ্ছে। তাই, হাসপাতালে ভর্তির প্রশ্নও ওঠে না।’বেসরকারি ক্ষেত্রে সব চেয়ে বেশি কোভিড রোগী সামলে এসেছে আমরি হাসপাতাল। ওই গোষ্ঠীর তিনটি হাসপাতাল মিলিয়ে ২০২২-এর জানুয়ারিতে যেখানে প্রতিদিন গড়ে শ’ চারেক করোনা রোগী ভর্তি থাকতেন, সেখানে এখন তিনটি হাসপাতালই কোভিডশূন্য। তা-ও ৬টি আইসোলেশন বেড রেখে দেওয়া হয়েছে ভবিষ্যতে দরকার হলে যাতে সেগুলিকে কোভিড বেডে রূপান্তর করা যায়, সেই জন্য। একই ছবি উডল্যান্ডসেও। ওই হাসপাতালেও আর করোনার জন্য আলাদা বেড নেই। মাত্র দু’টি আইসোলেশন বেড রাখা হয়েছে, যদি পরে দরকার হয়, সে কথা ভেবে। অক্টোবরের পর আর কোনও করোনা রোগী ভর্তি হননি উডল্যান্ডস এবং আরএন টেগোরে। পিয়ারলেস হাসপাতালে ঠিক এক বছর আগে গড়ে রোজ শ’দুয়েক রোগী ভর্তি থাকতেন। সেখানেও সংখ্যাটা শূন্য।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *