এবার মধ্যপ্রদেশ থেকে কলকাতা পুলিশের STF গ্রেফতার করল এক সন্দেহভাজন জঙ্গিকে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ার ISIS যোগে এই ব্যক্তিই লিংকম্যান?

হাইলাইটস
- ফের জঙ্গি সন্দেহে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার কলকাতা করল কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স।
- মধ্যপ্রদেশ থেকে সোমবার রাতে পাকড়াও করা হয় আবদুল রাকিব কুরেশিকে।
- বাংলার ছাত্রদের অস্ত্রসস্ত্র জোগাচ্ছিল এই IS লিংকম্যান।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই আবদুল রাকিব কুরেশির কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে একটি মোবাইল ফোন, একটি পেন ড্রাইভ। অনুমান করা হচ্ছে, সেগুলি খতিয়ে দেখে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে। উঠে আসতে পারে IS যোগও। প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার হাওড়া থেকে দুই সন্দেহভাজন জঙ্গিকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশের STF (Special Task Force)। হাওড়া থানার (Howrah Police Station) অন্তর্গত আফতাবুদ্দিন মুন্সি লেনের বাসিন্দা মহম্মদ সাদ্দামকে গ্রেফতার করা হয় কলকাতার খিদিরপুর এলাকা থেকে। জানা যায়, সে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের MTech-এর ছাত্র। পাশাপাশি শিবপুর থানা এলাকার গোলাম হোসেন লেনে আরও এক অভিযুক্ত সঈদ আহমেদের বাড়িতে তল্লাশি চালায় STF। সঈদ আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেছে বলে জানা যায়। তাদের দু’জনের কাছ থেকেই একাধিক ল্যাপটপ, মোবাইল ও বেশকিছু কাগজপত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সেই ল্যাপটপের ড্রাইভে বহু ভিডিয়ো পাওয়া গিয়েছে যেখানে ISIS-এর নৃশংসা ধরা পড়েছে। কী ভাবে বোমা তৈরি করা হয়, সে সবও রয়েছে ওই ল্যাপটপে। ধৃতদের কুখ্যাত জঙ্গি সংগঠন আইসিসেসর সঙ্গে যোগ রয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
এখন প্রশ্ন উঠছে, বাংলায় কি জেহাদি জঙ্গিদের সুইসাইড স্কোয়াড তৈরির চেষ্টা চলছে? কোনওভাবে এই রাজ্যে আত্মঘাতী হামলার ছক কষা হচ্ছে? আর এই পরিকল্পনার সঙ্গে হাওড়ার টিকিয়াপাড়ার সাদ্দাম মল্লিক ও শিবপুরের সইদ আহমেদের যোগ রয়েছে? এ ক্ষেত্রে মধ্যপ্রদেশ থেকে গ্রেফতার হওয়া সন্দেহভাজন কুরেশির ভূমিকা খতিয়ে দেখার প্রয়োজন রয়েছে বলে জানাচ্ছেন লালবাজারের গোয়েন্দারা। প্রাথমিক তদন্তেই জানা গিয়েছে, সাদ্দাম ও সইদ অস্ত্রশস্ত্র ও বিস্ফোরক জোগাড়ের চেষ্টা করছিলেন। তবে কি লিংকম্যান হিসেবে এই কুরেশিই তাদের অস্ত্রসস্ত্র জোগাচ্ছিল?
আশপাশের শহরের খবর
Eisamay News App: আশপাশের তাজা ও গুরুত্বপূর্ণ খবর বাংলায় পড়তে ডাউনলোড করুন এই সময় অ্যাপ