Justice Rajasekhar Mantha : ‘এজলাসে প্রবেশে যেন বাধা না দেওয়া হয়’, নির্দেশ বিচারপতি মান্থার – calcutta high court chief justice rajasekhar mantha says no one should be prevented from entering his room


হাইকোর্টে তাঁর এজলাস বয়কটের ঘটনায় এবার কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। তলব করলেন হাইকোর্টের ওসিকে। একইসঙ্গে নির্দেশ দিলেন, কোনওভাবেই যাতে কলকাতা হাইকোর্টে তাঁর এজলাসে কাউকে প্রবেশে বাধা না দেওয়া হয়। তাঁর এজলাসের বাইরে প্রয়োজনে ফোর্স বাড়ানোরও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এদিকে, সোমবারের পর সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনেও কলকাতা হাইকোর্টে চরম বিশৃঙ্খলা দেখা গিয়েছে। ফের একবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাস বয়কটের ডাক দেন তৃণমূলপন্থী আইনজীবীরা। এদিনও বিচারপতির কক্ষের বাইরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন তাঁরা।

Calcutta High Court : ‘বিচারপতি একনায়ক!’ জাস্টিস মান্থার এজলাস বয়কট করে তৃণমূলপন্থী আইনজীবীদের বিক্ষোভ, উত্তাল হাইকোর্ট
কী প্রতিক্রিয়া বিচারপতি রাজশেখর মান্থার?

কলকাতা হাইকোর্টের ওসিকে তলব করেছেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। বিচারপতির নির্দেশ, প্রয়োজনে এজলাসের বাইরে ফোর্স বাড়াতে হবে। কেউ এজলাসে আসতে চাইলে তাকে যেন বাঁধা না দেওয়া হয়, তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
বিচারপতি মান্থা বলেন, “যারা আসতে চান,তাঁরা যেন এজলাসে প্রবেশ করতে পারেন। যারা আসতে চান না সেটা তাঁদের বিষয়।” উল্লেখ্য, এক আইনজীবী, বিচারপতি মান্থার এজলাসে প্রবেশ করার সময় তাকে বাঁধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ ওঠে। তারপরেই বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা এই নির্দেশ দিয়েছেন।

Calcutta High Court : হাইকোর্টে হাতাহাতি-গালিগালাজ! এজলাস ছাড়লেন বিচারপতিরা, পিছোল ৪০০ মামলার শুনানি
বিচারপতি মান্থার এজলাসে এসে আইনজীবীদের একাংশ বার অ্যাসোসিয়েশনের সিদ্ধান্তের কথা জানান। কিন্তু বাম, কংগ্রেস এবং BJP পন্থী আইনজীবীরা মানতে নারাজ। তারা বিচার প্রক্রিয়া চালানোর দাবি জানান। বিচারপতি মান্থা জানিয়ে দেন দুই পক্ষের আইনজীবী উপস্থিত না থাকলে তিনি কোনও নির্দেশ জারি করবেন না। একমাত্র কোনও জরুরি মামলা ছাড়া। বর্তমানে মেনশন পর্ব চলছে বিচারপতি মান্থার এজলাসে। ইচ্ছুক আইনজীবীরা অংশ নিচ্ছেন মেনশন পর্বে।

Justice Abhijit Gangopadhyay : অবৈধ চাকরি খুইয়ে মিলল বৈধ নিয়োগ
স্তম্ভিত প্রধান বিচারপতি

বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাস বয়কট নিয়ে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব বলেন, “আমরা স্তম্ভিত! বার অ্যাসোসিয়েশনের সহ সম্পাদক সোনাল সিনহা চিঠি দিয়েছেন। তাঁর লেটার হেডে একরকম লেখা, বডিতে অন্য লেখা।
জানি না এগুলো কি হচ্ছে।” তিনি আরও বলেন, “এটা ঐতিহ্যশালী হাইকোর্ট। কলকাতা সম্পর্কে দেশে একটা সুনাম রয়েছে। বারের কি কোনও দায়িত্ব নেই? বার কোনও সিদ্ধান্ত নিচ্ছে না কেন?” এরপরই প্রধান বিচারপতি নির্দেশ দেন, বার অ্যাসোসিয়েশনের সহ সম্পাদকের চিঠির পালটা অ্যাপ্লিকেশন জমা করতে হবে। তারপর আদালত এর বিবেচনা করবে।

Primary Recruitment Case: ১৪০ প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল, বেতন বন্ধের নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের
এ প্রসঙ্গে আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, “বারের কোষাধক্ষ দাবি করেছেন, বার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এই বয়কট কর্মসূচির। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসের সামনে উত্তেজনা চলছে। আদালত অবমাননার রুল জারি করা হোক। না হলে এমন অববস্থার শেষ হবে না। স্বতঃপ্রণোদিতভাবে হস্তক্ষেপ করুক হাইকোর্ট।”



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *