কী প্রতিক্রিয়া বিচারপতি রাজশেখর মান্থার?
কলকাতা হাইকোর্টের ওসিকে তলব করেছেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। বিচারপতির নির্দেশ, প্রয়োজনে এজলাসের বাইরে ফোর্স বাড়াতে হবে। কেউ এজলাসে আসতে চাইলে তাকে যেন বাঁধা না দেওয়া হয়, তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
বিচারপতি মান্থা বলেন, “যারা আসতে চান,তাঁরা যেন এজলাসে প্রবেশ করতে পারেন। যারা আসতে চান না সেটা তাঁদের বিষয়।” উল্লেখ্য, এক আইনজীবী, বিচারপতি মান্থার এজলাসে প্রবেশ করার সময় তাকে বাঁধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ ওঠে। তারপরেই বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা এই নির্দেশ দিয়েছেন।
বিচারপতি মান্থার এজলাসে এসে আইনজীবীদের একাংশ বার অ্যাসোসিয়েশনের সিদ্ধান্তের কথা জানান। কিন্তু বাম, কংগ্রেস এবং BJP পন্থী আইনজীবীরা মানতে নারাজ। তারা বিচার প্রক্রিয়া চালানোর দাবি জানান। বিচারপতি মান্থা জানিয়ে দেন দুই পক্ষের আইনজীবী উপস্থিত না থাকলে তিনি কোনও নির্দেশ জারি করবেন না। একমাত্র কোনও জরুরি মামলা ছাড়া। বর্তমানে মেনশন পর্ব চলছে বিচারপতি মান্থার এজলাসে। ইচ্ছুক আইনজীবীরা অংশ নিচ্ছেন মেনশন পর্বে।
স্তম্ভিত প্রধান বিচারপতি
বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাস বয়কট নিয়ে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব বলেন, “আমরা স্তম্ভিত! বার অ্যাসোসিয়েশনের সহ সম্পাদক সোনাল সিনহা চিঠি দিয়েছেন। তাঁর লেটার হেডে একরকম লেখা, বডিতে অন্য লেখা।
জানি না এগুলো কি হচ্ছে।” তিনি আরও বলেন, “এটা ঐতিহ্যশালী হাইকোর্ট। কলকাতা সম্পর্কে দেশে একটা সুনাম রয়েছে। বারের কি কোনও দায়িত্ব নেই? বার কোনও সিদ্ধান্ত নিচ্ছে না কেন?” এরপরই প্রধান বিচারপতি নির্দেশ দেন, বার অ্যাসোসিয়েশনের সহ সম্পাদকের চিঠির পালটা অ্যাপ্লিকেশন জমা করতে হবে। তারপর আদালত এর বিবেচনা করবে।
এ প্রসঙ্গে আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, “বারের কোষাধক্ষ দাবি করেছেন, বার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এই বয়কট কর্মসূচির। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসের সামনে উত্তেজনা চলছে। আদালত অবমাননার রুল জারি করা হোক। না হলে এমন অববস্থার শেষ হবে না। স্বতঃপ্রণোদিতভাবে হস্তক্ষেপ করুক হাইকোর্ট।”