আদালত অবমাননার রুল জারির পদক্ষেপ
এদিন প্রধান বিচারপতির আদালতে স্বতঃপ্রণোদিত মামলার শুনানিতে আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য (Bikash Bhattacharya) বলেন, “মামলার নথি জমা দেওয়া হয়েছে। গতকাল এবং আজকে ১৩ নম্বর কক্ষের সামনে আচলাবস্থার ছবি তুলে ধরা হয়েছে। বিচারপতি মান্থার বাড়ির সামনেও যে পোস্টার পড়েছে, সেই বিষয়টিও প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে জমা করা হয়েছে। যা ঘটনা ঘটেছে তাতে রুল ইস্যু করে জবাব চাওয়া হোক।” বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার ১৩ নম্বর কক্ষ বয়কট নিয়ে মধ্যস্থতা করলেন আইনজীবী সপ্তনশু বসু। তিনি বলে, “যা ঘটেছে তাতে জাস্টিফাই করার কোনো কারণ নেই। এখানেই এটা নিষ্পত্তি করা হোক। কারণ যা ঘটেছে সেটা আড়াল করার চেষ্টা করা অনুচিত। বার অ্যাসোসিয়েশন কোনও বৈঠক করেনি। যা ঘটেছে সেটা অবাঞ্ছিত। এই ঘটনার আর পুনরাবৃত্তি না ঘটে সেটাও দেখা দরকার। আমাদের সহকর্মীদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করা হলে তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক হবে।” আদালতের দরজা আটকে আইনজীবীদের এজলাসে ঢুকতে বাধা দেওয়া, বিচার ব্যবস্থায় বাধা সৃষ্টির দায়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে রুল জারি করল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অপরাধের ধারা প্রয়োগ করে রুল ইস্যু করে মামলা পাঠিয়ে দেন প্রধান বিচারপতির এজলাসে। দরজার বাইরে সব সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণ করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। যদিও প্রধান বিচারপতির এজলাসে চলা মামলার নতুন করে শুনানি হবে কি না, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়ে গিয়েছে। এদিন প্রধান বিচারপতির এজলাসে অ্যাডভোকেট জেনারেল উপস্থিত হয়ে বলেন, “যা ঘটেছে তাতে আমি লজ্জিত। এটা দুঃখজনক।
সেন্ট্রাল ফোর্স দিতে প্রস্তুত কেন্দ্র
শুনানি চলাকালীন প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ প্রশ্ন করে, কেন এই ঘটনা কাল আটকানো হয়নি? তৃণমূলপন্থী বয়কটকারী আইনজীবীদের উদ্দেশ্যে বলা হয়, তাঁরা চিৎকার করছেন। কোর্টকে বিরক্ত করছেন। সমস্তটা রেকর্ড করা হচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করা হলে, তা কিন্তু ভালো হবে না। আইনজীবী বিল্লদল ভট্টাচার্য বলেন, “আদালত চাইলে কেন্দ্র সেন্ট্রাল ফোর্স দিতে প্রস্তুত।”