Marriage Problem: পরকীয়ার অভিযোগ তুলে বেআইনিভাবে ডির্ভোস! বধূকে ৫ লাখ টাকার জরিমানার নিদান গ্রামের মাতব্বরদের – a woman complained that her husband and village leaders forced her to give divorce


West Bengal Local News রাতের অন্ধকারে ডিভোর্স তাও কোর্টের বাইরে, দশ টাকার স্ট্যাম্প পেপারের মীমাংসা পত্রে গ্রাম কমিটির মাতব্বরদের ফতোয়ায় হল ডিভোর্স। চাঞ্চল্যকর অভিযোগ পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমারে। কোর্ট-আদালত ছেড়ে গ্রামের মাতব্বরাই করলেন ডিভোর্সের ফয়সালা। উলটে পরকীয়ার অভিযোগ এনে তিন মেয়ের মাকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানার নিদান। থানায় দায়ের অভিযোগ।

১০ বছর পূর্বে নন্দকুমারের চুনাখালি গ্রামের ক্ষুদিরাম শাসমলের সঙ্গে বিয়ে হয় শ্যামলী শাসমলের। তিনটি কন্যা সন্তান রয়েছে তাদের। বিয়ের পরই ক্ষুদিরাম তাঁর স্ত্রীকে পাঠায় ওড়িশায় কাজের জন্য। তারপরেই বিস্ফোরক অভিযোগ শ্যামলীর। অভিযোগ, অন্য পুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে দোহাই দিয়ে ক্ষুদিরাম তাঁকে ব্যাপক মারধর করেন। তারপরেই শ্যামলী ভয়ে ফিরে আসেন তার বাপের বাড়ি। স্বামীর ভয়ে লুকিয়ে থাকেন বেশ কয়েকদিন। শ্যামলী গ্রামে ফিরতেই তার উপর গ্রাম মাতব্বরদের ফতোয়া জারি হয়।

Rajshahi News : বাসি লুঙ্গি কাচেনি স্ত্রী, রাগে বিয়ে ভাঙল স্বামী

জানা গিয়েছে, গ্রামের মাতব্বরদের কাছে স্ত্রীয়ের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে বলে অভিযোগ করেন। গ্রামে ফিরতেই তার উপর বসে সালিশি সভা। সালিশি সভায় ব্যাপক মারধর করা হয় শ্যামলীকে। গ্রাম কমিটির সদস্য এবং শ্যামলীর স্বামী কার্যত স্বীকারও করে নিয়েছেন সেই কথা। সালিশি সভায় নিদান, যে জায়গায় শ্যামলীর নামে জমি রয়েছে তা তাঁর স্বামীর নামে করে দিতে হবে। শুধু তাই নয় ডিভোর্সের সঙ্গে সঙ্গে স্বামীকে দিতে হবে ৫ লাখ টাকা এবং গ্রাম কমিটিকেও দিতে হবে এক লাখ টাকা।

শ্যামলীর স্বামী ক্ষুদিরাম শাঁসমল জানান, তাঁর স্ত্রীয়ের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। যা পুরোপুরি মিথ্যা বলে দাবি করেছেন শ্যামলী। যার কারণে গ্রামের সালিশি সভায় তিনি বিচার চান। কিন্তু সেখানে শ্যামলীর কোনও কথাই শোনা হয়নি। উলটে মারধরও করা হয়। জোর পূর্বক জায়গা জমি রেজিস্ট্রি করে নেওয়া হয়। এদিকে সালিশি সভায় ক্ষুদিরাম শাঁসমলকে নতুনভাবে সংসার করতে নিদান দেয়। উল্লেখ্য, সালিশি সভার নিদান ছিল শুধু পাওয়ার অপেক্ষা। তারপরই বিয়ে করে নেন ক্ষুদিরাম।

Bus Accident: ছুটির দিনে ভাত-ঘুম ছেড়ে বাড়তি আয়ের খোঁজ, শিয়রে দাঁড়ানো মৃত্যু পালটে দিল হিসেব

ন্যায়ের দাবিতে অসহায় শ্যামলী সংবাদ মাধ্যম এর দ্বারস্থ। যেখানে নন্দকুমার থানা এলাকায় কোন কোর্ট নেই, সেখানে ১০ টাকার স্ট্যাম্প পেপারে ডিভোর্স সম্পন্ন হলো কিভাবে? শ্যামলীর দাবি জোরপূর্বক বেআইনিভাবে ডিভোর্স হলেও শ্যামলীর স্বামী ক্ষুদিরাম শাসমল তা মানতে নারাজ। গ্রাম কমিটির সভাপতি প্রজাপতি বর্মন টাকা নেওয়ার বিষয়টি স্বীকারও করেছেন। যেখানে বিচারব্যবস্থা রয়েছে, সেখানে একবিংশ শতাব্দীতে গ্রামের মোড়লদের মাতব্বরি এখনও বিদ্যমান তা নন্দকুমারের ঘটনায় স্পষ্ট। ন্যায় বিচারের আশায় শ্যামলী বর্মন অভিযোগ করেছেন নন্দকুমার থানায়। ৪৯৭, ৪৯৮ এ, ৪৯৪/৩৮৪, ৪৪ আইপিসি এই ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে ১০ জনের নামে।

পশ্চিমবঙ্গের আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন। প্রতি মুহূর্তে খবরের আপডেটের জন্য চোখ রাখুন এই সময় ডিজিটালে



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *