এই ঘটনায় চোখ কপালে ওঠে পুলিশ ও ড্রাগ কন্ট্রোল ব্যুরো আধিকারিকদের। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, যে ওষুধ সরকারি হাসপাতালে সরবরাহ দেওয়ার কথা, তা এই আবাসন কীভাবে এল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ধৃতকে প্রাথমকি জেরার পর পুলিশ জানতে পেরেছে, কলকাতা থেকে ওষুধ ঘুরপথে নিয়ে আসা হত বর্ধমানে। এখানে নিয়ে এসে স্থানীয় বেশ কিছু নার্সিং হোমে সেই ওষুধ সরবারহ করা হত। উদ্ধার হওয়া শল্য চিকিৎসার সামগ্রী সরকারি কিনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, উদ্ধার হওয়া ওষুধের মধ্যে বিভিন্ন নামী ও বহুজাতিক মেডিসিন প্রস্তুতকারী সংস্থার স্যাম্পেল ফাইলও রয়েছে। এই ওষুধগুলি সাধারণত চিকিৎসকদের দেওয়ার কাজে ব্যবহার করা হয়। সেই ওষুধগুলিও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। পুলিশও ড্রাগ কন্ট্রোল ব্যুরো সূত্রে খবর, ধৃতের কাছে ট্রেড লাইসেন্স থাকলেও ড্রাগ লাইসেন্স ছিল না। লাইসেন্স ছাড়াই ওষুধ মজুত করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। এই ঘটনার সঙ্গে আর কারা কারা জড়িত অথবা কোনও ওষুধ পাচারকারী গোষ্ঠীর যোগাযোগ রয়েছে কিনা তার খোঁজ শুরু করেছে তদন্তকারী অফিসারেরা।
এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবে হকচকিত এলাকার বাসিন্দারা। স্থানীয় বাসিন্দা প্রবীর দাস বলেন, “হঠাৎ করে দেখলাম গাড়ি নিয়ে পুলিশ আধিকারিকরা এখানে এসে এই বাড়িতে ঢুকলেন। তারপর বাড়ির বাসিন্দাকে গ্রেফতার করে নিয়ে গেলেন। পরে জানতে পারলাম উনি বেআইনিভাবে বাড়িতে ওষুধ মজুত করে রেখেছিলেন। এর বেশি আমি আর কিছু বলতে পারব না।”
পশ্চিমবঙ্গের আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন। প্রতি মুহূর্তে খবরের আপডেটের জন্য চোখ রাখুন এই সময় ডিজিটালে।