দিন তিনেক আগেই কেশপুর কলেজে গভর্নিং বডির বৈঠক ঘিরে প্রকাশ্যে আসে শাসকদলের কোন্দল, এলাকায় চরম উত্তেজনা ছড়ায়। মন্ত্রী শিউলি সাহার বিরুদ্ধে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান তোলেন ওই কলেজের পড়ুয়া তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জনা কয়েক ছাত্র। সোমবার রাতে বিক্ষুব্ধ ছাত্রদের তেলেভাজা খাইয়ে মানভঞ্জনের চেষ্টা করলেন মন্ত্রী শিউলি সাহা। সোমবার দুপুরে কেশপুরে প্রথমে ‘দিদির দুত’ কর্মসূচি সম্বন্ধিত সাংবাদিক বৈঠক করেন শিউলি সাহা। এরপর সন্ধ্যায় বিধায়ক কার্যালয় এসে পৌঁছন কেশপুর কলেজের বিক্ষুব্ধ দুই ছাত্রনেতা। তাদের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেন মন্ত্রী। কেশপুর ব্লক তৃণমূলের সভাপতি প্রদ্যুৎ পাঁজাও বৈঠকে ছিলেন।
বৈঠক শেষে মন্ত্রী দাবি করেন, যাবতীয় সমস্যা মিটে গিয়েছে। সকলকে সাথে নিয়ে চলার বার্তাও দিয়েছেন কেশপুরের বিধায়ক। বিক্ষুব্ধ দুই ছাত্রনেতার দাবি, অন্যের প্ররোচনায় পা দিয়ে কোন্দলে জড়িয়ে ছিল তাঁরা। যদিও মন্ত্রীর এই মন্তব্যের কিছুক্ষণের মধ্যেই উলটো সুর শোনা যায় কেশপুরের ব্লক যুব তৃণমূল সভাপতি আসিফ ইকবালের গলায়। বৈঠকে তাঁকে না ডাকার অভিযোগ জানিয়েছেন আসিফ। তিনি বলেন, ‘গোটা বিষয়টি রাজ্য ও জেলা নেতৃত্বকে জানানো হয়েছে।’ তবে ছাত্রনেতাদের প্রতি মন্ত্রীর এই মনোভাবকে সমর্থন জানিয়েছেন মন্ত্রী। সোমবার রাতের এই ঘটনার পর কেশপুরের রাজনৈতিক চিত্রটা কি আদৌ বদলাবে? এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মনে।
পশ্চিমবঙ্গের আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন। প্রতি মুহূর্তে খবরের আপডেটের জন্য চোখ রাখুন এই সময় ডিজিটালে।