স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে পুকুর থেকে সজলবাবুর মৃতদেহ নিয়ে আসার সময় তাঁর ভাই ও দিদিের মৃত্যুর ঘটনাটি সম্পর্কে খোঁজ পাওয়া যায়। সজলবাবুকে উদ্ধার করে বাড়িতে আনার সময় দেখা যায় বাড়ির ঘরের মধ্যে মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে ভাই ও দিদি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বেলঘরিয়া থানার পুলিশ ও দমকল। কী কারণে এই মর্মান্তিক খুনের ঘটনা? এর পিছনে রয়েছে মানসিক অবসাদ না অন্য কোনও কারণ? এই সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে পুলিশ।
মৃতদেহ গুলি ইতিমধ্যেই ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে হাসপাতালে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ভাইদিদি একটি ঘরের মধ্যেই পড়ে ছিলেন। কিভাবে খুন করা হলো এখন তা নিয়েও তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। ময়নাতদন্তের পরই গোটা বিষয় পরিষ্কার হবে বলেই অনুমান পুলিশের।
সজলবাবু যে এই ধরনের ঘটনা ঘটাতে পারেন, তা এখনও বিশ্বাস করতে পারছেন না স্থানীয় বাসিন্দারা। এই ঘটনায় প্রতিবেশীদের সকলে রীতিমত অবাক। ঘটনার সমস্ত দিকি খতিয়ে দেখতে চাইছেন তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকারা। এলাকার বাসিন্দা বলেন ‘সকালে পুকুরে একটি মৃতদেহ ভেসে ওঠে। ব্যক্তি আমার বন্ধু, তাঁর নাম সজল চৌধুরী। পুলিশ বাড়িতে এসে দেখে ঘরে আরও দু’জন মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। তবে স্বাভাবিক অবস্থায় দু’জন ঘরে পড়েছিল। পুলিশের তরফে জানতে পারি সেখানে কোনও রক্তের দাগ ছিল না। ওনাদের আরেক দাদা ছিলেন, তিনি কোথায় আছেন আমরা জানি না।’