বুধবার থেকে দিদির দূতেরা পৌঁছে যাবেন নিজের অঞ্চলে। বিধায়ক, সাংসদ, সভাধিপতি সহ তৃণমূল নেতা কর্মীরা নিজেদের কেন্দ্রে করবেন জনসংযোগ। আজ হাওড়ার আটটি কেন্দ্রে এই কর্মসূচি শুরু হল। সেইমতো ডোমজুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক তথা হাওড়া সদরের সভাপতি কল্যাণ ঘোষ নিজের অঞ্চল সমীক্ষা সফর শুরু করেন। সকালে লিলুয়া চকপারা বাজার এলাকায় শীতলা মায়ের মন্দিরে পুজো দেন। তারপর রেশন দোকান, চায়ের দোকান, বাজার সহ বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে মানুষের সমস্যার কথা শোনেন। এরপর রয়েছে স্কুল পরিদর্শন, বাড়িতে মধ্যাহ্ন ভোজ, নৈশভোজ ও রাত্রিবাস।
কল্যাণ ঘোষ জানান, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)-এর যে জনমুখী প্রকল্প রয়েছে তার মধ্যে মানুষকে সুরক্ষিত রাখার জন্য পনেরোটি প্রকল্প রয়েছে। সেগুলো মানুষ ঠিকমতো পাচ্ছে কিনা, না পেলে কোথায় সমস্যা সেসব জানা হবে ঘরে ঘরে গিয়ে। এইসব প্রকল্পের মাধ্যমে মানুষকে সুরক্ষিত রাখাই একমাত্র উদ্দেশ্য।” জেলার অন্যান্য নেতৃত্ব দলের নির্দেশ অনুযায়ী কর্মসূচি পালন শুরু করে দিয়েছেন। নতুন এই কর্মসূচির মাধ্যমে মূলত জনসংযোগ এবং মানুষের সুবিধা-অসুবিধাকে চিহ্নিত করার প্রয়াসে রাজ্যের শাসক দল বাড়ি, বাড়ি পরিক্রমা করবে বলে মত তৃণমূলের।
দক্ষিণবঙ্গের সাত জেলা থেকে ‘দিদির সুরক্ষা কবচ‘ কর্মসূচি শুরু করতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress)। এর মধ্যে হাওড়া জেলার শ্যামপুর, সাঁকরাইল, উদয়নারায়ণপুর, ডোমজুড়, জগৎবল্লভপুর, পাঁচলা ও বাগনান এই সাত জায়গায় কর্মসূচি হবে। নদিয়া জেলার কৃষ্ণনগর, হাঁসখালি, কৃষ্ণগঞ্জ, নবদ্বীপ, রানাঘাটে ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচি রাখা হয়েছে। হুগলি জেলায় ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচি হবে ধনেখালি, উত্তরপাড়া, শ্রীরামপুর, সিঙ্গুর,পুরশুড়া ও আরামবাগ এলাকায়। মুর্শিদাবাদ জেলার জঙ্গিপুর, ফরাক্কা, নবগ্রাম, শমসেরগঞ্জ, সুতি, ভরতপুর, হরিহরপাড়া, ডোমকল, জলঙ্গি ও মুর্শিদাবাদে ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচি পালন করা হবে। এ ছাড়াও রয়েছে পূর্ব বর্ধমান জেলার আউসগ্রাম, বর্ধমান শহর, জামালপুর, কেতুগ্রাম ও পূর্বস্থলী দক্ষিণ বিধানসভা এলাকায়।