‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচির শুভ সূচনা করতে এদিন দিদি’র দূত (Didir Doot) হিসেবে সাংসদ আবু তাহের খানের (Abu Taher Khan) সুতি ও ভরতপুর -১ (Bharatpur) ব্লকের আলোগ্রামে যাওয়ার কথা ছিল। সেই মতন তিনি ভরতপুর -১ ব্লকের আলোগ্রাম থেকে এই পর্বের সূচনা করেন। শুরুতেই তাঁকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (Lakshmir Bhandar) প্রকল্পের বিষয়ে গ্রামবাসীদের প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়। এক গ্রামবাসী জানান, “লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (Lakshmir Bhandar) এখনও চালু হয়নি। আমি দিন আনি, দিন খাই। অনেকবার নির্দিষ্ট জায়গায় গিয়ে আবেদনপত্র জমা দিয়েছি। কিন্তু আমার হয়নি। টাকা ঢোকে না ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে।” এছাড়াও বহু মানুষ সাংসদের কাছেই পৌঁছতে পারেননি। তাঁরা কার্যত ক্ষোভে ফুঁসছেন। মানুষের ক্ষোভের মুখে কার্যত অস্বস্তিতে পড়েন সাংসদ।
দিদির দূত কর্মসূচিতে, তৃণমূলের বিধায়ক, সাংসদ, জেলা পরিষদের সভাপতি, সংগঠনের জেলা সভাপতি, জেলা চেয়ারম্যানরা সাধারণ মানুষের কাছে যাচ্ছেন, খোঁজ নিচ্ছেন, তাঁরা সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন কিনা। বুধবার ভরতপুরের এই গ্রামে যান তৃণমূল সাংসদ আবু তাহের খান। ঘুরে ঘুরে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। এরপরই বাড়ির উঠোনে বসে থাকা এই মহিলা ও তাঁর স্বামীর সঙ্গে কথা বলতে যান তৃণমূল সাংসদ। সরকারি প্রকল্পের কথা উঠতেই তৃণমূল সাংসদের কাছে ক্ষোভ উগরে দেন তাঁরা।
যদিও সাংবাদিকদের সাংসদ জানান, “এই এলাকায় প্রচুর পরিবার রয়েছেন, তাঁদের অনেকেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার থেকে বাকি সমস্ত সরকারী প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন। অল্প কয়েকজন মানুষের কিছু সমস্যা রয়েছে। আমি আজ সব শুনে খতিয়ে দেখে গেলাম। আশা করছি খুব তাড়াতাড়ি যে সমস্যাগুলি রয়েছে, মিটিয়ে দিতে পারব।”