বিজেপি হুগলি সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক সুরেশ সাউ বলেন, “মা কালীর দর্শন আর শিবের দর্শন করে কোনও লাভ হবে না। এরা পাঁচ বছর ক্ষমতায় এসে মানুষের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ রাখেনি। খালি করে খাওয়ার জন্য ক্ষমতায় এসেছে। সুতরাং মা কালীও এঁদের পাশে থাকবে না, বাবা তারকনাথ এদের পাশে থাকবে না। আর এই যে চায়ে পে চর্চা বিজেপির অনুকরণ করা। এটা করেও মানুষের কাছে পৌঁছতে পারবে না।” পালটা সিঙ্গুরের বিধায়ক তথা মন্ত্রী বেচারাম মান্না বলেন, “বিজেপির কোনও কর্মসূচি নেই। তাঁরা শুধু বিভিন্নভাবে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। আমরা যত রাস্তায় নামছি ওরা তত আবোল-তাবোল বকতে শুরু করেছে। ওরা জানে না বাংলার যত পুজো কমিটি আছে সমস্ত পুজো কমিটির সঙ্গেই তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা যুক্ত। প্রতিটি মন্দিরের সঙ্গেও তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা যুক্ত। প্রতিটি মসজিদ কমিটির সাথেও আমাদের নেতা-কর্মীরা যুক্ত। বিজেপির চায়ে পে চর্চা অনুকরণের বিষয়ে বেচারাম জানান, বিজেপির কপি করার মতো পরিস্থিতি তৃণমূলের নেই। উল্টে তৃণমূলের নকল করছে ওঁরা।”
প্রসঙ্গত, বুধবার ১১ জানুয়ারি থেকেই প্রথম দফায় ‘দিদির সুরক্ষা কবচ‘ কর্মসূচি শুরু করছে তৃণমূল কংগ্রেস। মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে সরকারি জনমুখী প্রকল্পগুলির সুবিধা মানুষ পাচ্ছেন কিনা, না পেলে কোথায় আটকে রয়েছে, সে বিষয়ে বিশদে খোঁজ নেবেন তৃণমূল নেতৃত্ব। প্রাথমিক ভাবে হুগলি জেলায় ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচি হবে ধনেখালি, উত্তরপাড়া, শ্রীরামপুর, সিঙ্গুর,পুরশুড়া ও আরামবাগ এলাকায়।
