আলিপুরদুয়ার ১ নম্বর ব্লক জংশন বায়রাগুড়ি এলাকার বাসিন্দা শৌর্য গঙ্গোপাধ্যায়। পরিবেশ দূষণের ক্ষেত্রে প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ কতটা ক্ষতিকারক সেটা সকলের জানা। তাই এই প্রথমবার আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) তথা সমগ্র উত্তরবঙ্গে একমাত্র জৈব ক্যারিব্যাগ (Eco friendly Carry Bag) তৈরির প্রচেষ্টা করছেন তিনি। আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) শহর থেকে অনেকটা দূরে বায়রাগুড়ির বাসিন্দা শৌর্য গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি নিজে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারতো বটেই, পাশাপাশি সম্পূর্ণ ১০০ শতাংশ জৈব ক্যারিব্যাগ তৈরির জন্য তিনি উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। জানা যায়, ভুট্টা থেকে এই জৈব ক্যারিব্যাগ তৈরি করেছেন শৌর্য। যা কিনা ১৮০ দিনের মধ্যেই সম্পূর্ণভাবে মাটিতে মিশে যাবে। এমনকি আগুনে পোড়ালেও সেই ব্যাগ পুড়ে ছাই হয়ে যাবে। যার ফলে পরিবেশের ভারসাম্য বজায় থাকবে বলে দাবি তাঁর। ভুট্টা থেকে তৈরি এই জৈব ক্যারিব্যাগ (Eco friendly Carry Bag) যে আগামী দিনে সাড়া ফেলে দেবে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।
বছরখানেক আগে তার এই পরিকল্পনা মাথায় আসে। এরপর এই পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করে তার এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করতে উদ্যোগী হয় শৌর্য গঙ্গোপাধ্যায়। গত ২৭-এ সেপ্টেম্বর অবশেষে বাবার থেকে নেওয়া স্বল্প অর্থ এবং ব্যাংক লোনের মাধ্যমে প্রায় দুই কোটি টাকা ব্যয়ে তাঁর এই প্রকল্প চালু করেন। যদিও স্থানীয় এলাকার ব্যবসায়ীরা এখনও পর্যন্ত চাইনিজ প্লাস্টিক ব্যবহার করার ঘটনায় তার চাহিদা বেশি না হলেও, প্রতিবেশী রাজ্য অসমে তার এই জৈব ক্যারি ব্যাগের যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে। স্থানীয় এলাকায় ধীরে ধীরে তার জৈব ক্যারিব্যাগের চাহিদাও বাড়বে বলে জানান তিনি।
আলিপুরদুয়ারের ঘাগড়ায় শৌর্য গঙ্গোপাধ্যায় একটি কারখানা তৈরি করেছেন। জার্মানি থেকে কাঁচামাল, গুজরাট থেকে ব্যাগ তৈরির মেশিন নিয়ে এসে এই ব্যাগের প্রোডাকশন শুরু করেন শৌর্য। এর আগে ঝাড়খণ্ড, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাট ও সিকিমে পরিবেশবান্ধব এই ক্যারিব্যাগ তৈরির কারখানা গড়ে উঠেছে। কিন্তু এরাজ্যে এটাই প্রথম। ঘাগড়ার ওই ইউনিটে যে পরিবেশবান্ধব ব্যাগ তৈরি করা হবে, সেই ব্যাগের দামও ক্রেতাদের নাগালে থাকবে বলে জানানো হয়। ওই কারখানা তৈরির ব্যাপারে জেলা প্রশাসনও সবরকম সহযোগিতা করছে বলে জানিয়েছেন প্রশাসনের কর্তারা।