স্থানীয় তৃণমূলকর্মীরাও মইনুল শেখ ও তাঁর অনুগামীদের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন। রকি শেখ নামের এক তৃণমূলকর্মী বলেন, “মইনুল শেখ ও দলবল এই ভাঙচুর করেছে। পার্টি অফিসের পাশাপাশি আমাদের বাড়িও ভাঙচুর করা হয়েছে। আমরা যে কোথাও আশ্রয় নেব, সেই জায়গাও পাইনি। বাগানে গিয়ে লুকিয়ে ছিলেন। পার্টি অফিসের ড্রয়ারে ২০ হাজার টাকা ছিল। সেই টাকাও নিয়ে চলে গিয়েছে।” সেলিনা নামে এক তৃণমূলকর্মী বলেন, “ইট, লাঠি নিয়ে পার্টি অফিসে হামলা করা হয়েছে। আমরা এখান থেকে পালিয়ে দোতলায় উঠে গিয়েছিলাম। আমাদের দিকেও ইট ছোড়া হয়েছে। গোটা ঘটনার পিছনে মইনুল ও তাঁর দলবল যুক্ত। কেন ভাঙচুর করল আমরা জানি না।”
এই নিয়ে মালদার তৃণমূল নেতা ও ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী বলেন, “দু’পক্ষের মধ্যে গন্ডগোল হয়েছে। এক পক্ষের কয়েকজন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। আমরা গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখছি। যাঁরা এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে অরাজকতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে, তাদের বিরুদ্ধে দল কঠোর ব্যবস্থা নেবে।” অন্যদিকে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর নিয়ে শাসকদলকে তীব্র কটাক্ষ করেছে বিজেপি। মালদার বিজেপি নেতা অম্লান ভাদুড়ি বলেন, “মালদায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সর্বজনবিদিত। মুখ্যমন্ত্রীও এই দ্বন্দ্ব মেটাতে পারেনি। টাকার ভাগাভাগি নিয়ে এই গন্ডগোল। দুই পঞ্চায়েত সদস্যের মধ্যে লড়াইয়ের কারণে এই ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ গোটা ঘটনাতেই নিষ্ক্রিয়। আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে মানুষ এদের সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করবে।”
পশ্চিমবঙ্গের আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন। প্রতি মুহূর্তে খবরের আপডেটের জন্য চোখ রাখুন এই সময় ডিজিটালে।