এদিন মন্দিরে পুজো দিয়ে, গ্রামের বয়স্ক মানুষের চরণ স্পর্শ করে দিদির সুরক্ষা কবচ (Didir Suraksha Kawach) জনসংযোগ শুরু করলেন বিধায়ক পুন্ডরি কাক্ষ সাহা (Pundarikakkha Saha)। আজ নবদ্বীপ ব্লকের চর ব্রহ্মনগর গ্রামে জনসংযোগে যান এলাকার বিধায়ক। প্রাথমিক গ্রাম্য কেন্দ্র থেকে শুরু করে এলাকার তাঁত শ্রমিকদের সঙ্গে তিনি কথা বলেন। কথা বলেন সাধারন মানুষের বাড়িতে গিয়েও।
তিনি যেমন আজ তাঁত শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলেন, তেমনি তাঁত মালিকদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের অভাব অভিযোগও শুনতে দেখা যায় বিধায়ককে। এই বিষয়ে নবদ্বীপের বিধায়ক বলেন, “এটি একটি অত্যন্ত ভালো কর্মসূচি। এই কর্মসূচির মাধ্যমে আমরা যারা বিধায়ক বা সাংসদ আছি, তাঁরা সাধারন মানুষের কাছে গিয়ে তাঁদের অভাব অভিযোগ থেকে শুরু করে তাঁদের জীবনে কি কি দরকার বা কি কি পরিষেবা পাওয়া বাকি রয়েছে, সব কথা সোজাসুজি শোনা সম্ভব হচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, “আজ আমি এখানে অনেকের সঙ্গেই কথা বললাম, তাঁদের সব দাবিদাওয়া শুনেছি। আমার এলাকায় অনেক তাঁতকল রয়েছে। গোটা রাজ্যে এই তাঁতকল গুলির সুনাম আছে। সেখানকার শ্রমিক ও মালিকপক্ষের সঙ্গেও কথা বলেছি। এখনও পর্যন্ত যে যে পরিষেবা দেওয়া সম্ভব হয়নি বা যে যে কাজ বাকি আছে, সেগুলো সবই খুব তাড়াতাড়ি মেটানোর চেষ্টা করব।”
উল্লেখ্য, গতকাল থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন এলাকার জোন ভাগ করে শুরু হয়েছে ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচি। আর সূত্রের খবর অনুযায়ী, এই কর্মসূচির প্রথম দিনের রিপোর্টে যারপরনাই খুশি রাজ্যের শাসকদলের উচ্চ নেতৃত্ব। তৃণমূল কংগ্রেসের (Tranmool Congress) সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এবং দলের জাতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) দিদির সুরক্ষা কবচ প্রচারকার্যটি শুরু করেছিলেন। এই উদ্যোগের অধীনে, দলের নেতা ও কর্মীরা রাজ্য জুড়ে দু’কোটি পরিবারের কাছে যাবেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ১৫টি কল্যাণমূলক প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন কিনা, তা নিশ্চিত করতে।