শুধু বাড়ি নয়, জাকিরের মালিকানায় থাকা তেলকল. রাইস মিল, একাধিক বিড়ি কারখানাতেও একইসঙ্গে তল্লাশি চালায় আয়কর দফতর। ১১ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলে চলে তল্লাশি। উদ্ধার হয় ১১ কোটি নগদ টাকা। আয়কর দফতর সূত্রে খবর, বাড়ি সহ তৃণমূল বিধায়ক জাকির হোসেনের কারখানাগুলি থেকে উদ্ধার হয়েছে এই বিপুল পরিমাণ ক্যাশ টাকা। এর মধ্যে জাকির হোসেন অফিসে ছিল সবথেকে বেশি নগদ টাকা। সেখান থেকে নয় কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে খবর।
কোথা থেকে এল এই টাকা?
বাড়িতে আয়কর দফতরের তল্লাশি এবং টাকা বাজেয়াপ্তের ঘটনা নিয়ে মুখ খুলেছেন জাকির হোসেন। তিনি বলেন, ”কোনও বেআইনি নয় সমস্ত টাকার খাতায় কলমে হিসেবে আছে। ব্যাঙ্ক থেকে তোলা এই টাকা।”
এত নগদ টাকা রাখার কারণ কী?
বাড়িতে রাখা কোটি কোটি টাকা। কী কারণে এত নগদ নিজের কাছে তা নিয়েও মুখ খুললেন জাকির হোসেন। তিনি বলেন, ”আমি একজন ব্যবসায়ী। আমাকে লেবার পেমেন্ট করতে হয়। নগদ কাছে না থাকলে লেবার পেমেন্ট আটকে যাবে। সবাই জানেন বিড়ি কারখায়, চাল কলে, তেলকলে নগদে টাকা দিতে হয়। লেবার ল মেনেই এই কাজ হয়। শ্রমিকেরা নিরক্ষর, তাদের লাভের কথা মাথায় রেখেই ক্যাশ টাকা দেওয়ার ব্যবস্থা। বাড়িতে ব্যাঙ্ক থেকে তোলা টাকা ও বাড়ির মহিলাদের টাকা ছিল। রাইস মিলে চাষিদের পেমেন্ট, তেল কল ও বিড়ি কারখানায় লেবারদের পেমেন্ট হিসেবে নগদ রাখা ছিল। গ্রামের লোক ব্যবসা করে খাচ্ছি। লেবাররা পেমেন্ট না পেলে না খেয়ে মরবে। লেবারের ক্ষেত্রে নগদে পেমেন্ট হয়।”
এখানেই শেষ নয়, জঙ্গিপুরের তৃণমূল বিধায়কের অভিযোগ, ”আমি সময়মতো নিয়ম মেনে সময়ে কোম্পানির ট্যাক্স জমা করি। তারপরেও এই অভিযান কেন? মুখ্যমন্ত্রী সব দেখছেন।”