কণিকা ভট্টাচার্য বলেন, “আজ থেকে সাত বছর আগে আমি পুজোর সময় প্রথম মোমোর দোকান দিয়েছিলাম। প্রথম দিন কিছু বিক্রি করতে পারিনি। সব জিনিস পড়ে গিয়েছিল। কিন্তু, আমার পুজোয় অনেক বিক্রি হয়েছিল। আমার স্বামী একটি বেসকারি কলেজের হস্টেল সুপারভাইজার। অতি সামান্য বেতন। তার উপর আমরা দুর্গাপুরে ভাড়ায় থাকি। লকডাউনের সময় পরিবারের উপর বড় আর্থিক বিপর্যয় নেমে এসেছিল। এরপরেই আমি সংসারের হাল ধরার জন্য মোমো বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।” লকডাউনের পর ছেলের অনুপ্রেরণায় তিনি নতুন করে মোমো বিক্রি শুরু করে বলে জানান কণিকা। এরপর অবশ্য তাঁকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।
কণিকা বলেন, “আমার এখন মোমো বিক্রি করেই মাসে ৪০ হাজার টাকা রোজগার। এই মোমো ব্যবসাটাকে আমি আরও বড় করতে চাই। আমার ছেলের ভবিষ্যৎ আমার উপরে নির্ভর করছে।” মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুজোর আগে বার্তা দিয়েছিলেন, চা এবং মোমোর বা খাবারের স্টল দিলেও অনেক টাকা উপার্জন হতে পারে। সেই বার্তা থেকেও অনুপ্রেরণা পেয়েছেন বলে জানান কণিকা। তাঁর কথায়, আমি সারাজীবন চেয়েছি নিজের পায়ে দাঁড়াতে। আমি গ্র্যাজুয়েট। কিন্তু, মধ্যবিত্ত বাড়ির মেয়ে হিসেবে আমার কখনও মনে হয়নি মোমোর দোকান আমি চালাতে পারব। প্রথমে লজ্জা হত। তারপর আমি এগিয়ে যাই নিজের লক্ষ্যে। এই সাফল্যের পর বুঝতে পারি, ওই লজ্জাটুকু সরিয়ে জীবনে এগিয়ে যেতে পারলে এবং সৎ-পরিশ্রমী হলে সাফল্য আসবেই।”