মালদার (Malda) এই ঘটনায় গোটা জেলা জুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জাল নিয়োগ পত্র নিয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহ শিক্ষকের চাকরিতে যোগ দিয়েছিল মহম্মদ মহসিন (৩২)। তাঁর বাড়ি মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর থানার সুলতান নগর গ্রাম পঞ্চায়েতের রাধিকাপুর গ্রামে। হরিশ্চন্দ্রপুর থানার কুমেদপুর বেতাহাল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গত ২০১৭ সালের ১৬ মার্চ তারিখে তিনি চাকরিতে যোগ দেন। ওই স্কুলে সাত-আট মাস শিক্ষকতা করছিলেন ওই ব্যক্তি। একমাসের বেতন হিসেবে ১৭,২৭৬ টাকা তোলেন। নথি যাচাইয়ের সময় জাল নিয়োগের বিষয়টি ধরে ফেলে শিক্ষা দফতর। স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিলেও ২০১৯ সালে বেতন না পাওয়ার অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মামলা করেন মহসিন। আদালতের নির্দেশে স্থানীয় থানা থেকে নথি পৌঁছনোর পর, মামলা খারিজ হয় মহসিনের। শেষে আদালতের নির্দেশে ১ মাসের পাওয়া বেতন ১৭২৭৬/- টাকা সরকারকে ফেরত দিতে হয়। উলটে ওই ভুয়ো শিক্ষকের বিরুদ্ধে গ্ৰেফতারি পরোয়ানা জারি করে আদালত।
এই প্রসঙ্গে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রফিকুল আলাউদ্দিন বলেন, ‘ভুয়ো শিক্ষক বা জাল নিয়োগ পত্রের ব্যাপারে আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বলতে পারবে। আমাদের কাছে সেই সময় যা কাগজ এসেছিল আমরা তা পাঠিয়ে ছিলাম। ভেরিফিকেশন করার অধিকার আমাদের নেই।’
উত্তর মালদা জেলা বিজেপির সম্পাদক রূপেশ আগরওয়াল তৃণমূলকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘সারা রাজ্য জুড়ে তৃণমূলের সব নেতারাই পাহাড়ৃ প্রমাণ দুর্নীতি করেছে। টাকার বিনিময়ে জাল আবেদন পত্র দিয়েছে। এতে মদত রয়েছে প্রশাসনের।’ বিজেপির পালটা জেলা তৃণমূল মুখপাত্র শুভময় বসু বলেন, ‘যখন ভুয়ো শিক্ষক ধরা পড়েছে তাহলে প্রশাসন ভালো কাজ করছে। আদালতের বিচারাধীন বিষয় তাই এর বেশি মন্তব্য করব না’