Primary TET : মালদায় ধৃত ভুয়ো প্রাথমিক শিক্ষক, নিয়োগপত্র দিয়েছিলেন তৃণমূল নেতা! চাঞ্চল্যকর অভিযোগ – fake primary teacher and trinamool congress worker from malda harishchandrapur arrested


West Bengal News: মালদাতে আদালতের নির্দেশ গ্রেফতার ভুয়ো প্রাথমিক শিক্ষক। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জাল নিয়োগপত্র নিয়ে চাকরিতে যোগদান করেছিলেন ওই ব্যক্তি। এই ঘটনায় মারাত্মক অভিযোগ সামনে এসেছে। ওই ভুয়ো শিক্ষককে নিয়োগপত্র দিয়েছিলেন মোথাবাড়ি থানা এলাকার এক তৃণমূল নেতা, এমনটা অভিযোগ। চার লক্ষ টাকার বিনিময়ে জাল আবেদন পত্র দিয়ে ছিলেন তৃণমূল নেতা। ভুয়ো প্রাথমিক শিক্ষক নিজেও তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত বলে জানা গিয়েছে। বুধবার রাতে তাঁকে গ্রেফতার করেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ। বৃহস্পতিবার ধৃতকে চাঁচোল মহকুমা আদালতে পেশ করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকের তৎকালীন স্কুল ইনচার্জ সৈকত ঘোষের ভূমিকাও প্রশ্নের মুখে। রাজ্য-জুড়ে নিয়োগ দুর্নীতি এবং তাতে একের পর এক শীর্ষস্তরের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছেন। নিয়োগ দুর্নীতিতে ইতিমধ্যেই জেল হাজতে রয়েছে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তার মাঝেই এই ঘটনায় তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা। শাসকদলকে তীব্র আক্রমণ BJP-র। যদিও তৃণমূলের তরফে পালটা সাফাই দেওয়া হয়েছে।

Pradhan Mantri Awas Yojana : আবাসে অনিয়মের ক্ষোভ, গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত মন্ত্রী
মালদার (Malda) এই ঘটনায় গোটা জেলা জুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জাল নিয়োগ পত্র নিয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহ শিক্ষকের চাকরিতে যোগ দিয়েছিল মহম্মদ মহসিন (৩২)। তাঁর বাড়ি মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর থানার সুলতান নগর গ্রাম পঞ্চায়েতের রাধিকাপুর গ্রামে। হরিশ্চন্দ্রপুর থানার কুমেদপুর বেতাহাল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গত ২০১৭ সালের ১৬ মার্চ তারিখে তিনি চাকরিতে যোগ দেন। ওই স্কুলে সাত-আট মাস শিক্ষকতা করছিলেন ওই ব্যক্তি। একমাসের বেতন হিসেবে ১৭,২৭৬ টাকা তোলেন। নথি যাচাইয়ের সময় জাল নিয়োগের বিষয়টি ধরে ফেলে শিক্ষা দফতর। স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিলেও ২০১৯ সালে বেতন না পাওয়ার অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মামলা করেন মহসিন। আদালতের নির্দেশে স্থানীয় থানা থেকে নথি পৌঁছনোর পর, মামলা খারিজ হয় মহসিনের। শেষে আদালতের নির্দেশে ১ মাসের পাওয়া বেতন ১৭২৭৬/- টাকা সরকারকে ফেরত দিতে হয়। উলটে ওই ভুয়ো শিক্ষকের বিরুদ্ধে গ্ৰেফতারি পরোয়ানা জারি করে আদালত।

Mid Day Meal : মিড ডে মিলের চালের ড্রামে মরা টিকটিকি, ইঁদুর! প্রধান শিক্ষককে ঘিরে বিক্ষোভ স্থানীয়দের
এই প্রসঙ্গে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রফিকুল আলাউদ্দিন বলেন, ‘ভুয়ো শিক্ষক বা জাল নিয়োগ পত্রের ব্যাপারে আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বলতে পারবে। আমাদের কাছে সেই সময় যা কাগজ এসেছিল আমরা তা পাঠিয়ে ছিলাম। ভেরিফিকেশন করার অধিকার আমাদের নেই।’

Pradhan Mantri Awas Yojana : রেলের জমিতে আবাস যোজনার ঘর পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ! মালদায় শোরগোল
উত্তর মালদা জেলা বিজেপির সম্পাদক রূপেশ আগরওয়াল তৃণমূলকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘সারা রাজ্য জুড়ে তৃণমূলের সব নেতারাই পাহাড়ৃ প্রমাণ দুর্নীতি করেছে। টাকার বিনিময়ে জাল আবেদন পত্র দিয়েছে। এতে মদত রয়েছে প্রশাসনের।’ বিজেপির পালটা জেলা তৃণমূল মুখপাত্র শুভময় বসু বলেন, ‘যখন ভুয়ো শিক্ষক ধরা পড়েছে তাহলে প্রশাসন ভালো কাজ করছে। আদালতের বিচারাধীন বিষয় তাই এর বেশি মন্তব্য করব না’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *