জ্ঞান ও বিদ্যার দেবী মা সরস্বতীর আশীর্বাদ পেতে দেশের অন্যান্য স্থানের মতো পূর্ব মেদিনীপুর (Purba Medinipur) জেলার পাড়া-মহল্লায়ও চলছে রমরমিয়ে পুজোর আয়োজন। প্রতিমা কারিগররা শেষ সময়ে সাজসজ্জার কাজে ব্যস্ত। জেলার বিভিন্ন প্রান্তে শিল্পীরা ছোট থেকে বড় আকারের প্রতিমা তৈরি করে চলেছেন। চূড়ান্ত ব্যস্ততা শিল্পী পাড়ায়। তবে এ বছর প্রতিমার চাহিদা থাকলেও কম সময় এবং প্রচন্ড ঠান্ডার কারনে অনেকে বায়না নিতে পারছে না বলে জানাচ্ছেন প্রতিমা শিল্পীরা।
এ বছর পুজোর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার জন্য দুটি কারণ সামনে আনছেন শিল্পীরা। প্রথমত, জেলায় জেলায় স্কুল, কলেজ খুলে যাওয়ার কারণে পুজোর বায়না গত দু বছরের তুলনায় অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। পাশাপাশি, করোনার প্রকোপ কাটিয়ে ওঠার কারণে বারোয়ারি সরস্বতী পুজোর সংখ্যাও বেড়েছে ভালো সংখ্যায়। সে কারণে এবার প্রতিমার বায়নার শেষ নেই। হাতে আর কয়েক সপ্তাহ সময়, তার মধ্যে চূড়ান্ত ব্যস্ততায় কাজ করে চলেছেন শিল্পীরা। এক প্রতিমা শিল্পী রেবতী সেনাপতি বলেন, “ঠান্ডার মধ্যে শরীর খারাপ নিয়েও অনেক সময় কাজ করতে হচ্ছে। বায়না রয়েছে প্রচুর। তাই সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করে উঠতে পারছি না।” আরেক শিল্পীর কথায়, “আগের কয়েক বছরের থেকে এবার প্রচুর অর্ডার এসেছে। তবে শীতের সময় বেশিক্ষণ ধরে কাজ করতে অনেকটাই অসুবিধা হচ্ছে। সেই কারণে অনেক বায়না নিতে পারিনি।” তবে বিগত কয়েক বছরের তুলনায় লক্ষ্মী লাভ কিছুটা বেশি হবে বলেই মনে করছেন শিল্পীরা।
তবে সংকট হয়ে দাঁড়াচ্ছে শীতের প্রকোপ। শিল্পীরা জানাচ্ছেন, পুজো খানিকটা এগিয়ে আসায় ঠান্ডার মধ্যে জল-কাদা প্রতিমা তৈরির কাজে নামতে হচ্ছে শিল্পীদের। রাতের দিকে বেশি সময় ধরে তাই কাজ করা যাচ্ছে না। এতে বায়নার চাপ থাকলেও কাজ কুলিয়ে না উঠতে পারায় ফিরিয়ে দিতে হচ্ছে অনেককেই। এ বছর ১ হাজার থেকে পাঁচ -সাত হাজার টাকার দামে প্রতিমা পাওয়া যাচ্ছে। প্রতিমা তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় মাটির অভাব তো রয়েছেই, সেই সঙ্গে সাজ-সরঞ্জামের জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় কিছুটা সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে বলে জানাচ্ছেন শিল্পীরা।