পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৭ নভেম্বর এথেলবাড়ির এক যুবতী দলগাঁও বীরপাড়া থেকে কোচিং নিয়ে বাড়ি ফিরছিল। সেই সময় রাত আনুমানিক নটা নাগাদ বীরপাড়া চৌপতিতে দাঁড়িয়ে থাকার সময় ওই যুবতীকে গাড়িতে লিফট দেওয়ার নামে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায় অভিযুক্ত ধর্মেন্দ্র মিশ্রা। এরপর ওই যুবতীকে জোরপূর্বক ডিমডিমা এলাকায় নিজের একটি ফ্যাক্টরি ঘরে নিয়ে যায় অভিযুক্ত ধর্মেন্দ্র বিশ্রা। এমনকি ওই যুবতিকে বন্দুক দিয়ে ভয় দেখিয়ে মুখে কুলুপ আঁটার নির্দেশ দেয় অভিযুক্ত। সেই সময় ঘটনাস্থল থেকে কোনওক্রমে বাড়ি ফেরে ওই যুবতী।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বাড়িতে একমাত্র বৃদ্ধ বাবা থাকায় ভয়ে সমস্ত ঘটনা চেপে যায় ওই যুবতী। পরবর্তীতে সেনা কর্মী দাদা বাড়িতে ফিরলে তাঁকে সমস্ত ঘটনা জানায় ওই যুবতী। এরপরেই গত ৩ জানুয়ারি ফালাকাটা থানায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে যুবতী। সেই ঘটনায় তদন্তে নেমে গতকাল রাতে অভিযুক্ত ধর্মেন্দ্র মিশ্রাকে এথেলবাড়ি নিজের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে ফালাকাটা থানার (Falakata Police Station) পুলিশ। তার কাছ থেকে একটি বন্ধুকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। বন্দুকের বৈধ লাইসেন্স আছে কিনা সেই বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। জানাগেছে শুক্রবার অভিযুক্ত ধর্মেন্দ্র মিশ্রার বিরুদ্ধে IPC-র ৩৭৬, ৫১১, ৩৫৪ ও ৩৪১ ধারায় মামলা রুজু করে আদালতে পেশ করে ফালাকাটা থানার পুলিশ। অভিযুক্তকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়ার চেষ্টা করা হবে বলে পুলিশের তরফে জানা গিয়েছে।
গোটা ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক জল্পনাও। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত যুবক এলাকায় ঠিকাদারি কাজের সঙ্গে যুক্ত। এমনকি ওই যুবতী থানায় অভিযোগ দায়ের করার পর রাজনৈতিক প্রভাব খাটানো হয় বলেও অভিযোগ। পরে অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে অবশেষে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে ফালাকাটা থানার পুলিশ (Falakata Police Station)। বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক চাপান উতোর শুরু হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে এখনও পর্যন্ত মুখ খুলতে চায়নি স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। তবে BJP জেলা সভাপতি ভূষণ মোদক বলেন, “অভিযুক্ত যুবক ওই এলাকায় মাফিয়া। এর আগে নির্বাচনের সময় বন্দুক দেখিয়ে ভয় দেখিয়েছে, তোলাবাজি করেছে। আমরা দোষীর উপযুক্ত শাস্তি চাই।”