তাঁর বক্তব্য, “কেন্দ্র বলছে ডিজিট্যাল পেমেন্ট করো। দশ-বিশ লাখ টাকা ব্যবসার খাতিরে বাড়িতে থাকা স্বাভাবিক। কিন্তু ১১ কোটি টাকা! যেখানে হাত দিচ্ছে, টাকা পাচ্ছে। টাকা উদ্ধার না হলে, তবু হয়রানি করা হয়েছে বলা যেত। এতো যেখানে হাত দিচ্ছে, টাকা বেরিয়েই যাচ্ছে। পার্থবাবুর বাড়িতে গেলে সাড়ে তিনশো কোটি পাবে। কেষ্টবাবুকে নাড়া দিলে সাড়ে পাঁচশো কোটি বের হবে।” শুক্রবার সকালে নিউটাউন ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে আসেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ। জাকির হোসেনের কাছ নগদ অর্থ উদ্ধারের ঘটনার পাশাপাশি আবাস দুর্নীতিতে এবং মান্থা কাণ্ডে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক দল পাঠানোর বিষয়টি নিয়েও মুখ খোলেন দিলীপ ঘোষ। জেলায় জেলায় একাধিক সরকারি প্রকল্প নিয়ে বিক্ষোভ চলছে, বিডিও সহ সরকারি আধিকারিকরা ঘেরাও হচ্ছে। মানুষের জনরোষের কারণেই কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক দলকে একাধিক রাজ্যে আসতে হচ্ছে বলে মত দিলীপ ঘোষের।
তিনি বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে সমস্ত বিডিও অফিস ঘেরাও চলছে। মানুষ রাস্তায় নামছে। আজ কেন জনতা এত ক্ষুব্ধ? কেন পাবলিক গালাগালি দিচ্ছে? জেলায় জেলায় সন্ত্রাস চলছে। এরকম দৃশ্য সারা দেশে কোথাও নেই। তাই খুব স্বভাবতই দেশের সমস্ত এজেন্সির নজর এই রাজ্যের দিকেই থাকবে। এই সরকার পুরোপুরি ব্যর্থ। এজেন্সির কাজই হল ভ্রষ্টচার আটকানো।” কেন্দ্রীয় অনুদান যাতে সাধারণের হাতে পৌঁছয় সেই কারণেই আবাস যোজনা নিয়ে বিজেপি এতটা সক্রিয়তা দেখাচ্ছে বলে জানান দিলীপ।