দুই কিলোমিটার আগেই গাড়ি থেকে নেমে মালপত্র মাথায় করে হেঁটেই মেলার পথ ধরেছেন অনেকে। যাতে কোথাও কোন রকম অসুবিধা না হয় পুণ্যার্থীদের, সেদিকে যথেষ্ট তৎপর দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার কপিল মুনির আশ্রমে পুজোর লাইন চলে যায় সমুদ্রতট পর্যন্ত। বাঁশ দিয়ে ব্যারিকেড গড়ে চলছে ভিড় নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা। শনিবার দিন বিশেষ নজরদারির ব্যাবস্থা করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, প্রায় ৩০ লাখের মতো পূণ্যার্থী এবার মেলায় আসার সম্ভাবনা রয়েছে। নিরাপত্তার স্বার্থে ১১০০ সিসিটিভি ক্যামেরায় মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা মেলা চত্বর। পাশাপাশি সাগরে পুণ্য স্নানে দুর্ঘটনা এড়াতে মোতায়েন এনডিআরএফ ও ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট টিম।
এ বছরই প্রথমবার হরিদ্বার-বারাণসীর আদলে গঙ্গা আরতির আয়োজন করা হয়েছে গঙ্গাসাগরে। বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টায় কপিল মুনির মন্দির থেকে একটি শোভাযাত্রা শুরু হয়। পৌঁছয় গঙ্গাসাগরের তিন নম্বর ঘাটে। ৬ থেকে সাড়ে ৬টা পর্যন্ত নাচ-গানের মাধ্যমে গঙ্গা আরতি হয়। এবারের গঙ্গা আরতির জন্য অযোধ্যা থেকে মহান্তদের নিয়ে আসা হয়। যোগাযোগ ব্যবস্থার জন্য মেলায় থাকছে ২২৫০টি সরকারি বাস, ৫০০ বেসরকারি বাস চালু থাকছে। ৪টি বার্জ, ৩২টি ভেসেল, ১০০টি লঞ্চ এই সময়ে চলবে। এক টিকিটে গঙ্গাসাগরে যাওয়া-আসা করা যাবে। ১০টি ফায়ার স্টেশন, ২৫টি দমকলের ইঞ্জিন মোতায়েন থাকছে।