বৃহস্পতিবার গোটা দিন নানা কর্মসূচির পর সন্ধায় গঙ্গা আরতি দিয়ে শেষ হল স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিন পালন। গঙ্গাকে দূষণ মুক্ত রাখতে কেন্দ্র সরকার নমামি গঙ্গা কর্মসূচি ঘোষণা করে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীও গঙ্গার ঘাট গুলোকে পরিচ্ছন্ন রাখা এবং গঙ্গাকে দূষণমুক্ত রাখতে ঘাটে ঘাটে গঙ্গা আরতি করার কথা জানান। সেইমতো বৃহস্পতিবার স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে হুগলির বৈদ্যবাটি পুরসভা (Baidyabati Municipality) নিমাই তীর্থ গঙ্গার ঘাটে গঙ্গা পুজো এবং গঙ্গা আরতির ব্যবস্থা করে। উপস্থিত ছিলেন চাঁপদানির বিধায়ক অরিন্দম গুঁইন, বৈদ্যবাটি পুরসভার চেয়ারম্যান পিন্টু মাহাত। এদিন ঘাটে তিনজন পুরোহিত গঙ্গা আরতি করেন। উপস্থিত ছিলেন অগণিত দর্শক। ঘাটে আরতি দেখে খুশি স্থানীয়রা। স্থানীয় এক বাসিন্দার কথায়, ” আমাদের ঘাটেও এরকম আরতি দেখতে পেরে আমরা আপ্লুত। বারাণসী ঘাটের আরতি দেখার সৌভাগ্য হয়নি। তবে এখনকার ঘাটের আরতি দেখতে পেয়ে মনটা ভরে গেল। আগামী দিনেও বিশেষ দিনগুলোতে এরকম আরতির ব্যবস্থা করা হোক, সেটাই চাই আমরা”
পুর চেয়ারম্যান পিন্টু মাহত বলেন, “স্বামী বিবেকানন্দের ১৬১ তম জন্ম দিবসে গঙ্গা আরতির মাধ্যমে গঙ্গা দূষণ রোধের বার্তা দেওয়া হয়। গঙ্গার ঘাট পরিচ্ছন্ন রাখা, দূষণ যাতে না হয় তার জন্য প্রচারের ব্যবস্থা করা হয়। দূষণ ঠেকাতে গঙ্গা বন্ধু নামে স্বেচ্ছাসেবক নিযুক্ত করা হয়েছে। শীতের সন্ধ্যায় গঙ্গা পুজো ও আরতি দেখতে ভিড় জমে।”
প্রসঙ্গত, গত বুধবার মুখ্যমন্ত্রী জানান, বৃহস্পতিবার স্বামী বিবেকানন্দের জন্মবার্ষিকী। ওই শুভ দিনেই বাবুঘাটে গঙ্গা আরতির কাজ শুরু করার নির্দেশ দেন মমতা। তিনি বলেন, “কাল স্বামী বিবেকানন্দর জন্মদিন। তাঁর মূর্তির সামনে দাঁড়িয়ে, তাঁর থেকে প্রেরণা নিয়ে কলকাতা পুরসভা এবং ববিকে (কলকাতা মেয়র) বলব কাল থেকে কাজ শুরু করতে। আসতে আসতে দক্ষিণেশ্বর, বেলুড়ের ঘাটেও গঙ্গা আরতি করার দিকে এগোব আমরা। তারাপীঠিও গঙ্গা আরতি হতে পারে। কালীঘাটে একটি ছোট পুষ্করিণী রয়েছে। স্কাইওয়াক হচ্ছে। যেখানে সুযোগ আছে, দেখে নিয়ে করতে হবে।” মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী বৈদ্যবাটী পুরসভা নিমাই তীর্থ গঙ্গার ঘাটেও গঙ্গা আরতির ব্যবস্থা করা হয়।