এদিন তিনি বলেন, পঞ্চায়েতে মনোনয়ন করাবেন দলের বিধায়ক, সাংসদরা। তাঁর বক্তব্য, “আমরা এবার কথা দিতে পারি পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়ন দাখিল আমরা করাবই। বাঁকুড়া জেলায় ৬ জন বিধায়ক, মন্ত্রী ও সাংসদ আছেন। তাঁদের সঙ্গে নিরাপত্তারক্ষী থাকেন। আমাদের বিধায়ক সাংসদরা প্রত্যেকটি BDO অফিসের ভিতরে থাকবেন। কথা দিতে পারি তাঁরা আপনাদের মনোনয়ন করাবেন এবং সঠিক ভাবে আপনাদের বাড়িতে পৌঁছে দেবেন। আপনারা বুথগুলিকে দূর্গ তৈরী করবেন। আর যদি চটি পরা পুলিশ বুথ লুঠ করতে যায়, তাহলে তাঁদের ধরবেন আর বক্স ফেলবেন পুকুরে।”
তিনি আরও বলেন, “এবারের পঞ্চায়েত গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠার ডু অর ডাই লড়াই।” আজ বাঁকুড়ার বড়জোড়া হাইস্কুল ময়দানে BJP-র একটি জনসভায় এই ভাষাতেই দলীয় কর্মীদের পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৈরী থাকার নির্দেশ দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। এদিন আবাস যোজনা (Pradhan mantri Awas Yojana) নিয়ে সভা থেকে ফের তৃনমূলকে (Trinamool Congress) একহাত নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, “BJP রাজ্য কমিটি আগামী সপ্তাহে আবাস যোজনা নিয়ে আদালতে জনস্বার্থ মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”
এছাড়াও তিনি বলেন, “আবাস যোজনার (Pradhan mantri Awas Yojana) তালিকায় ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। যোগ্য মানুষদের নাম আবাস যোজনায় ওঠেনি। অবস্থাপন্নদের নাম উঠেছে তালিকায়। আমরা যোগ্যদের নাম তালিকায় তুলে দিতে পারব না। তাই রাজ্য কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে জনস্বার্থ মামলা করে যোগ্যদের বাড়ি পাইয়ে দেওয়ার।”
সভা শেষে বীরভূমে শতাব্দীর বিক্ষোভের মুখে পড়া নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে শুভেন্দুর প্রতিক্রিয়া, “চোরেদের পেলে লোকে এমনটাই করবে। ওদের পুরো দলটাই চোর। আজ তো অল্প হয়েছে। আরও বেশি কিছু হওয়া উচিৎ ছিল। গ্রাম জেগেছে। এটা দক্ষিণ কলকাতার প্রাসাদে থাকা লোকেদের বিরুদ্ধে গ্রামের লড়াই। এবার গ্রাম চালাবে রাজ্য।”