ত্রিচি অ্যাসল্ট রাইফেল
গত কয়েক বছর ধরেই ত্রিচির কারখানায় AK 47-র আদলে তৈরি এই অ্যাসল্ট রাইফেলগুলি বিভিন্ন কেন্দ্রীয় আধা সামরিকবাহিনী ব্যবহার করে আসছে। CRPF, CISF ছাড়াও চোখ বন্ধ করে এই রাইফেলের উপর ভরসা রাখেন BSF জওয়ান ও অফিসাররা। এছাড়াও রেলের RPF এবং বিভিন্ন রাজ্যের পুলিশ বাহিনীও এই রাইফেল ব্যবহার করে। সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি INSAS অ্যাসল্ট রাইফেলের তুলনায় ত্রিচির তৈরি আগ্নেয়াস্ত্র ওজনে অনেকটাই হালকা। তাই সহজেই এটিকে বহণ করা যায়। এর ওজন মাত্র সাড়ে তিন কেজি। মিনিটে ৬০০ থেকে সাড়ে ৬৫০ রাউন্ড গুলি ছুড়তে পারে এই রাইফেল।
নরেন্দ্র মোদী সরকার (Narendra Modi Government) ক্ষমতায় আসার পর থেকেই সেনার আধুনিকীকরণের পাশাপাশি দেশীয় প্রযুক্তিতে অস্ত্র তৈরির উপরেও জোর দেওয়া হয়েছে। Ordnance Factory Board ভেঙে সাতটি আলাদা আলাদা সংস্থা তৈরি করেছে প্রতিরক্ষামন্ত্রক (Ministry of Defence)। এর পরই সেনা ও আধা সেনার চাহিদা ও আধুনিক যুদ্ধের কথা মাথায় রেখে নতুন ধরনের রাইফেল তৈরিতে জোর দেয় অস্ত্র কারখানাগুলি। গত বছর 7.62 NATO Rifle তৈরি করে ইছাপুরের অস্ত্র কারখানা। এই রাইফেলে 7.62 X 55 mm-র গুলি ব্যবহার করা হয়। অত্যন্ত আধুনিক এই রাইফেলের প্রথম বরাত দিয়েছিল CRPF। গত বছর বেশ কিছু রাইফেল এই কেন্দ্রীয় বাহিনীর হাতে তুলেও দেয় ইছাপুর অস্ত্র কারখানা কর্তৃপক্ষ।
অন্যদিকে রাশিয়ার (Russia) তৈরি AK 47-র উন্নত ভার্সান AK 203 অ্যাসল্ট রাইফেলও তৈরি হবে ভারতে। উত্তরপ্রদেশের আমেঠিতে ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন হয়েছে কারখানার। প্রযুক্তি বিনিময়ের মাধ্যমে এই রাইফেল তৈরি করা হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র।