সংঘর্ষের তীব্রতা এতোটাই ছিল যে বাস ও লরির সামনের অংশ দুমড়ে মুচড়ে যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, এদিন সকাল ঘন কুয়াশার কারণে দৃশ্যমানতা কম ছিল৷ সেই কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে। গুরুতর আহতদের আরামবাগ হাসপাতালে (Arambagh Medical College and Hospital) পাঠানো হয়েছে। অবিলম্বে দূর্ঘটনাপ্রবল ঐ এলাকায় রাস্তার উপর স্পীড ব্রেকার বসানোর দাবিও তারা জানিয়েছেন স্থানীয়রা। স্থানীয় এক বাসিন্দা এদিন ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে জানান, “সকালের দিকে এখানে ঘন কুয়াশা ছিল। তাই বাস ও লরিটি মুখোমুখি চলে এলেও কেউ কাউকে দেখতে পায়নি। তার জেরেই ঘটে গেল এই মারাত্মক দুর্ঘটনা। এই জায়গাটি এমনিতেই দুর্ঘটনাপ্রবণ বলে পরিচিত। তাও প্রশাসনের তরফে রাস্তায় কোনও স্পীড ব্রেকার বসানো হয়না”। ওই বাসিন্দা আক্ষেপ করে জানান, “আজ যদি এই রাস্তায় স্পীড ব্রেকার বসানো থাকত, তাহলে হয়ত এই বড় দুর্ঘটনাটি এড়ানো যেত”।
কয়েকমাস আগে এই আরামবাগ মহকুমাতেই একটি বাস দুর্ঘটনায় একইরকম ভাবে প্রায় ৫০জন বাস যাত্রী আহত হয়েছিলেন। একটি যাত্রী বাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে চাষের জমতে পাল্টি খেয়ে পড়ে। আরামবাগের কালিদানা এলাকায় এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। স্থানীয়দের তৎপরতায় উদ্ধারকাজ শুরু হয়। আরামবাগ বাস স্ট্যান্ড থেকে বাসটি যাত্রী বোঝাই বাসটির গন্তব্য ছিল বর্ধমানের গোতান। নির্ধারিত সময়ে যাত্রী নিয়ে রওনা দিয়েছিল বাসটি। রওনা দেওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই হঠাৎই আরামবাগের কালিদান এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার থেকে পাল্টি খেয়ে তিল চাষের জমিতে উল্টে যায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের চোখের সামনে ঘটে দুর্ঘটনাটি।