কে এই সাগর বিশ্বাস?
জানা গিয়েছে, স্থানীয় মন্দির কমিটির সদস্য তিনি। তাঁর কথায়, মন্ত্রীর কাছে তিনি মন্দির নিয়েই কয়েকটি বিষয় বলতে গিয়েছিলেন। রাস্তা সংক্রান্ত সমস্যার কথা বলাই ছিল তাঁর মূল উদ্দেশ্য। কিন্তু,কেন তিনি চড় খেলেন তা বুঝে উঠতে পারছেন না। তিনি বলেন, “এই ধরনের ঘটনা যদি ঘটে সেক্ষেত্রে তো কোনও কথা বলা যাবে না। তা বাক স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ।” এই প্রসঙ্গে BJP-র মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “ওই ব্যক্তি মন্দির কমিটির সদস্য। গতকাল তাঁরা জানতে পারেন এলাকায় মন্ত্রী আসছেন। এই পুরো বিষয়টি মন্ত্রীকে জানাবেন বলে গিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু, মন্ত্রীর কাছে পৌঁছনোর আগেই তাঁকে চড় মারা হল। আসলে চড় থাপ্পড় নিয়েই তৃণমূল।”
ঠিক কী বলেছেন মন্ত্রী?
এই প্রসঙ্গে রথিন ঘোষ জানিয়েছেন, এই চড় মারার ঘটনা যখন ঘটেছে তিনি সেখানে ছিলেন না। ঘটনাটি তিনি দেখেননি। সাগরের থেকে এই বিষয়ে জানার পর দুঃখপ্রকাশ করেছেন তিনি। ব্যক্তিগত কোনও বিষয়ে তিনি হস্তক্ষেপ করবেন না বলে জানান। তবে যদি থাপ্পড় মারার ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে তা ঠিক নয় বলেও জানান তিনি।
এলাকায় বিক্ষোভ…
শনিবার এই ঘটনার প্রতিবাদে সুভাষ নগরে পথ অবরোধ কর্মসূচি নেয় BJP। রাস্তার উপর টায়ার জ্বালিয়ে চলে অবরোধ। স্থানীয় নন্দদুলাল মন্দির সংস্কার করার জন্য স্থানীয় মানুষ অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন তিনি। অন্যায়ভাবে সাধারণ মানুষের গায়ে হাত তোলা হয়েছে বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে। এই ঘটনায় পুলিশি হস্তক্ষেপের দাবি করেছে BJP। এই ঘটনায় দোষীদের শাস্তির দাবি করেছে বিক্ষোভকারীরা। মোটের উপর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য পড়ে গিয়েছে।