West Bengal News: শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) নির্দেশ গোটা রাজ্যজুড়ে ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচির সূচনা করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই দলের নির্দেশে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে যাচ্ছেন ‘দিদির দূত’-রা। এই কর্মসূচি শুরু হতেই গোটা রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় শাসকদলের নেতামন্ত্রীদের কাছে অভাব অভিযোগ উগরে দিচ্ছেন সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে দলীয় কর্মীরা। এবার উত্তর ২৪ পরগণার দত্তপুকুরে মন্ত্রীর সামনে অভিযোগকারীর আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। দত্তপুকুরে ইছাপুরে নীলগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতে ‘দিদির দূত’ কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ। মন্ত্রীর কাছে খারাপ রাস্তা নিয়ে অভিযোগ জানাতেই অভিযোগকারী গ্রামবাসীকে সপাটে চড় মারেন এক তৃণমূলকর্মী। খাদ্যমন্ত্রীর সামনেই গোটা ঘটনাটি ঘটেছে। এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। আক্রান্ত ব্যক্তি বলেন, ‘চড় মারলেন সেটা আপনার দেখলেন। এই পরিবেশ যদি হয়, তবে কোনও কথাই বলা যাবে না।’
এই প্রসঙ্গে খাদ্যমন্ত্র রথীন ঘোষ বলেন, ‘এখানকার মানুষ বেশ কিছু বিষয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন। কারও ব্যক্তিগত কোনও সমস্যার মধ্যে তো আর আমি কথা বলতে পারব না। মানুষ অভিযোগ জানালে আক্রান্ত হবে না। কেউ আক্রান্ত হয়েছেন কিনা আমি দেখিনি। কেউ কেউ ব্যক্তিগত উদ্দেশ্য নিয়ে এখানে এসেছেন। সেই কারণেই এইরকম কিছু ঘটে থাকতে পারেন।’ স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই গ্রামের মানুষের এলাকার পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। আক্রান্ত ব্যক্তি মন্ত্রীকে চড় মারার কথা জানিয়েছেন। তাঁর পিঠ চাপড়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন মন্ত্রী। এমনকী ওই ব্যক্তির কাছে ভুলও স্বীকার করেছেন মন্ত্রী।
এই প্রসঙ্গে সিপিএমন নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘এই কর্মসূচির মাধ্যমে মানুষ নয়, দিদির সুরক্ষার বন্দোবস্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এত বড় সাহস, মন্ত্রীর সামনে মুখ খুলেছেন বলে চড় মারা হয়েছে। তৃণমূল যা বলে, মানুষকেও তাই বলতে হবে। না বললেই এই ধরনের ঘটনা ঘটবে। দিদির ভূতরা মানুষের ক্ষোভের মুখে পড়ছে বা গলা ধাক্কা খাচ্ছে।’
এই ঘটনা নিয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ করেছেন বিজেপি নেতা রাহুল সিনহার। তিনি বলেন, ‘জনগণের সুরক্ষা গ্যারান্টি দিদি দিচ্ছে- এটাই ছিল কর্মসূচি। কিন্তু, দিদি মানুষকে কেমন সুরক্ষা দিচ্ছেন সেটা দত্তপুকুরে দেখা গেল। দুর্নীতি বা অনুন্নয়ন নিয়ে কথা বলা যাবে না। এমন হলেই দিদির সুরক্ষার থাপ্পড় গালে এসে পড়বে। ‘