কিন্তু গ্রামে যাওয়ার পরেই ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় বিধায়ককে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ভোটের পর এলাকায় আর দেখা যায়নি বিধায়ককে। নানান অভাব অভিযোগ করেও হয়নি সমস্যার সুরাহা। গ্রামের মানুষ আবাস যোজনায় বাড়ি পাননি, এমনকি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে রান্নার মানও খারাপ। রাস্তাঘাট বেহাল, এলাকায় নেই জল বলে অভিযোগ করেন গ্রামবাসীরা। এক গ্রামবাসী অভিযোগ করে জানান, “‘‘হাসপাতালে কোনও পরিষেবা পাওয়া যায় না। ছোটখাটো অসুখ হলেও বর্ধমান এবং দুর্গাপুরের হাসপাতালে ‘রেফার’ করে দেওয়া হয়।’’ তিনি আরও বলেন, “প্রায় দেড় বছর হল বিধানসভা ভোট হয়ে গিয়েছে। কিন্তু তারপর থেকে একদিনও বিধায়ককে আমাদের গ্রামে আমরা দেখতে পাইনি। গ্রামে যাদের কাঁচা বাড়ি রয়েছে, তাঁদের কারোরই আবাস যোজনার তালিকায় নাম ওঠেনি। তাঁরা কেউই আর পাকা বাড়ি পাবেন না। এইসব বিষয়গুলি বিধায়কের দেখা উচিত ছিল”।
এদিন বিক্ষোভের মুখে পরে গ্রাম থেকে ফিরে যেতে হয় বিধায়ক নেপাল ঘোড়ুইকে। শুধু গ্রামবাসী নয়, বিধায়ককে নিয়ে বিস্তর অভিযোগ তুলেছেন এলাকার স্থানীয় তৃণমূল (Trinamool Congress) কর্মীরাও। তাঁদের অভিযোগ, গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্যকে না জানিয়ে কর্মসূচি করতে আসেন বিধায়ক। এমনকি এই গ্রামের দলীয় কর্মীদেরও জানানো হয়নি যে তিনি আসছেন বা আজ এই গ্রামে দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচি রয়েছে। এক তৃণমূল কর্মী তো মারাত্মক অভিযোগ তুলে বলেন, “বিধায়ককে সচরাচর এলাকায় দেখা যায় না। কোনও কোনও সময় এলাকায় তাঁর গাড়ি দেখা যায়। তবে তিনি জানলার কাচ তুলে চলে যান। এলাকার কোনও উন্নয়নে শামিল হন না”।