Didir Suraksha Kawach : ‘হাসপাতালে পরিষেবা মেলে না…’, ফের একবার বিক্ষোভের মুখে ‘দিদির দূত’ তৃণমূল বিধায়ক নেপাল – tmc mla nepal ghorui faces protest in didir suraksha kavach campaign at purba bardhaman galsi


Purba Bardhaman News : ‘দিদির দূত’-দের (Didir Doot) ঘিরে রাজ্যে বিক্ষোভ থামার কোনও লক্ষনই দেখা যাচ্ছে না। রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষকে দিয়ে শুরু। তারপর রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। শুক্রবার সাংসদ শতাব্দী রায়, অর্জুন সিংহ, যুবনেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য, তারকা নেত্রী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে এবার বিধায়ক নেপাল ঘোড়ুই (MLA Nepal Ghorui)। শাসক তৃণমূলের (Trinamool Congress) একের পর এক নেতা-নেত্রী সাধারণ মানুষের ক্ষোভের মুখে পড়ছেন দলীয় জনসংযোগ কর্মসূচিতে গিয়ে। যা ইঙ্গিত, তাতে এই ক্ষোভ কমে যাবে, এমন সম্ভাবনা কম বলেই মনে করছে রাজ্যের রাজনৈতিক মহল। এদিন ‘দিদির দূত’ (Didir Doot) হয়ে ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ (Didir Suraksha Kawach) কর্মসূচি পালন করতে পূর্ব বর্ধমান (Purba Bardhaman) জেলার গলসীর (Galsi) কুরকুবা গ্রাম পঞ্চায়েতের জয়কৃষ্ণপুরে যান তৃণমূল বিধায়ক নেপাল ঘোড়ুই (MLA Nepal Ghorui)।

Lovely Maitra : ‘এটাকে বিক্ষোভ বলা যায় না’, নেতানেত্রীদের বাধার মুখে পড়া নিয়ে সাফাই লাভলির
কিন্তু গ্রামে যাওয়ার পরেই ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় বিধায়ককে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ভোটের পর এলাকায় আর দেখা যায়নি বিধায়ককে। নানান অভাব অভিযোগ করেও হয়নি সমস্যার সুরাহা। গ্রামের মানুষ আবাস যোজনায় বাড়ি পাননি, এমনকি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে রান্নার মানও খারাপ। রাস্তাঘাট বেহাল, এলাকায় নেই জল বলে অভিযোগ করেন গ্রামবাসীরা। এক গ্রামবাসী অভিযোগ করে জানান, “‘‘হাসপাতালে কোনও পরিষেবা পাওয়া যায় না। ছোটখাটো অসুখ হলেও বর্ধমান এবং দুর্গাপুরের হাসপাতালে ‘রেফার’ করে দেওয়া হয়।’’ তিনি আরও বলেন, “প্রায় দেড় বছর হল বিধানসভা ভোট হয়ে গিয়েছে। কিন্তু তারপর থেকে একদিনও বিধায়ককে আমাদের গ্রামে আমরা দেখতে পাইনি। গ্রামে যাদের কাঁচা বাড়ি রয়েছে, তাঁদের কারোরই আবাস যোজনার তালিকায় নাম ওঠেনি। তাঁরা কেউই আর পাকা বাড়ি পাবেন না। এইসব বিষয়গুলি বিধায়কের দেখা উচিত ছিল”।

Shatabdi Roy: দলীয় কর্মীর বাড়ি খেতে বসে মাঝপথেই উঠে গেলেন শতাব্দী, সবই ‘ছবির হুজুগ!’ কটাক্ষ বিরোধীদের
এদিন বিক্ষোভের মুখে পরে গ্রাম থেকে ফিরে যেতে হয় বিধায়ক নেপাল ঘোড়ুইকে। শুধু গ্রামবাসী নয়, বিধায়ককে নিয়ে বিস্তর অভিযোগ তুলেছেন এলাকার স্থানীয় তৃণমূল (Trinamool Congress) কর্মীরাও। তাঁদের অভিযোগ, গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্যকে না জানিয়ে কর্মসূচি করতে আসেন বিধায়ক। এমনকি এই গ্রামের দলীয় কর্মীদেরও জানানো হয়নি যে তিনি আসছেন বা আজ এই গ্রামে দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচি রয়েছে। এক তৃণমূল কর্মী তো মারাত্মক অভিযোগ তুলে বলেন, “বিধায়ককে সচরাচর এলাকায় দেখা যায় না। কোনও কোনও সময় এলাকায় তাঁর গাড়ি দেখা যায়। তবে তিনি জানলার কাচ তুলে চলে যান। এলাকার কোনও উন্নয়নে শামিল হন না”।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *